কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
পুলিশের রোষের মুখে আপাতত কলকাতা হাই কোর্টে রক্ষাকবচ পেলেন পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর পিন্টু চন্দ্র। ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশ আপাতত কোনও রকম কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বিচারপতি একই সঙ্গে পিন্টুকে নির্দেশ দিয়েছেন, পুলিশি তদন্তে সাহায্য করতে হবে।
পিন্টুর দল কংগ্রেস সম্প্রতি ঝালদা পুরসভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। তার পরেই একটি পুরনো মামলায় সাক্ষী হিসেবে তাঁকে তলব করে ঝালদা থানা। তিনি হাজির না-হওয়ায় তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করে পুলিশ পুরুলিয়া আদালতে আবেদন জানায়, ওই কাউন্সিলরকে ‘ফেরার অপরাধী’ বলে ঘোষণা করা হোক। তারই বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পিন্টু। ৬ ডিসেম্বর ফের মামলার শুনানি হবে।
পিন্টুর আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী, প্রীতি কর ও দেবায়ন ঘোষ হাই কোর্টে জানান, পুলিশের এই তৎপরতার পিছনে আছে রাজনৈতিক অভিসন্ধি। রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে অনাস্থা বৈঠকে কংগ্রেস কাউন্সিলর যাতে উপস্থিত থাকতে না-পারেন, তাই তাঁকে অভিযুক্ত সাজিয়ে হেনস্থা করার ছক কষা হয়েছে। কৌস্তভ এ দিন কোর্টে জানান, গত ১১ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১২টায় একটি পুজোর শোভাযাত্রা থেকে থানা ভবনে আগুন লেগে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় পিন্টুকে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ। অথচ সেই ঘটনার সময় পিন্টু ছিলেন সিবিআইয়ের দফতরে। ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর হত্যাকাণ্ডে পিন্টুকে সাক্ষী হিসেবে তলব করেছিল সিবিআই। সেখানেই বয়ান দিতে গিয়েছিলেন পিন্টু।