— ফাইল চিত্র।
রাজ্যের ২৮ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর হচ্ছে বিস্তর। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে সরকারি সেই সিদ্ধান্ত আপাতত বিশ বাঁও জলে। তারই মাঝে কংগ্রেস পরিচালিত জয়নগর-মজিলপুর পুরসভা স্থানীয় পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক সাহায্য করায় নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
শনিবার পুর এলাকার প্রায় ৩০টি সর্বজনীন পুজো কমিটির হাতে নগদ ১০০০ করে টাকা তুলে দেন পুর কর্তৃপক্ষ। তালিকায় আছে ১৯টি বাড়ির পুজোও। পুরসভা সূত্রের খবর, পুজো উপলক্ষে এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতেই এই অনুদান। গত বছরেও এই অনুদান দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু রাজ্য সরকারের একই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পরে কি পুরসভা এ ভাবে টাকা বিলি করতে পারে?
পুরপ্রধান সুজিত সরখেল বলেন, ‘‘প্রত্যেক পুরসভার নিজস্ব তহবিল থাকে। যেটা পুরসভা নিজের ইচ্ছে মতো খরচ করতে পারে। সেখান থেকেই আমরা এই টাকাটা দিচ্ছি।’’ উপ পুরপ্রধান তুষারকান্তি রায়ের যুক্তি, পুজোর কয়েকটি দিন পুরকর্মীর সংখ্যা কম থাকে। ফলে পুজো কমিটিগুলোরই দায়িত্ব থাকে এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার। সে কথা মাথায় রেখে এই সাহায্য। এতে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ লঙ্ঘিত হচ্ছে না বলেই মনে করেন পুর কর্তৃপক্ষ।
সাহায্য পেয়ে খুশি এলাকার অন্যতম বড় পুজো মজিলপুর সর্বজনীনের কোষাধ্যক্ষ সোমনাথ কয়াল। তাঁর কথায়, ‘‘গত বছরও টাকা পেয়েছিলাম।’’ রাজ্য সরকারের সাহায্য পেতেও তাঁরা আবেদন করে রেখেছেন বলে জানালেন।
পুরসভার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধীরা। পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী তৃণমূলের ফরিদা বেগম শেখ বলেন, ‘‘যদি কমিটিগুলি এই অনুদান ভাল কাজে লাগায়, তা হলে তো ভালই।’’