Jamiat Ulama-e-Hind

Jamiat Ulema-e-Hind: সংযমের বার্তা, ব্রিগেডে সমাবেশ চায় জমিয়তে

জমিয়তের সর্বভারতীয় ওয়ার্কিং কমিটির দু’দিনের অধিবেশন ৬৬ বছর পরে এ বার হয়েছে কলকাতায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:০০
Share:

জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সদস্যরা। —নিজস্ব চিত্র।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু ছাত্র-যুব সমাজকে আরও ‘সতর্ক’ হয়ে চলার বার্তা দিল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের জমানায় সংখ্যাগুরুক ভাবাবেগকে উস্কে দেওয়া হচ্ছে এবং ‘বিদ্বেষের রাজনীতি’র জেরে সংখ্যালঘুদের দেশদ্রোহ-সহ নানা অভিযোগে ‘ফাঁসানো’র প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুদের উত্তেজিত ও বিভ্রান্ত করার ‘অপচেষ্টা’ যাতে সফল না হয়, তার জন্য মুসলিম যুব ও ছাত্রদের আরও সতর্ক হয়ে চলার কথাই বলছেন জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে কেন্দ্রীয় জনসভা করার পরিকল্পনাও নিয়েছে ওই সংগঠন।

Advertisement

জমিয়তের সর্বভারতীয় ওয়ার্কিং কমিটির দু’দিনের অধিবেশন ৬৬ বছর পরে এ বার হয়েছে কলকাতায়। এই শহরে শেষ বার এমন আসর বসেছিল ১৯৫৫ সালে, মহম্মদ আলি পার্কে। এ বারের অধিবেশনে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধর্মের ‘অপব্যবহার’ ও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের মদতে ‘বিদ্বেষমূলক অভিযানের’ প্রতিবাদ জানিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়েছে। সেখানেই উঠে এসেছে পরিস্থিতির বিচারে নিজেদের বাড়তি সতর্ক থাকার প্রসঙ্গ। অধিবেশনে ছিলেন জমিয়তের সর্বভারতীয় সভাপতি মাহমুদ মাদানি, সর্বভারতীয় মহাসচিব হাকিমউদ্দিন কাসেমি, দুরুল উলুম দেওবন্দের উপাচার্য আবুল ক্বাসিম নোমানি প্রমুখ। সাংগঠনিক শক্তির নিরিখে বাংলার কমিটিই এখন জমিয়তের মধ্যে সব চেয়ে এগিয়ে। জমিয়তের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘‘ব্রিগেডে একটি মহাসমাবেশ করার বিষয়েও অধিবেশনে আলোচনা হয়েছে।’’ জমিয়তের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে, ‘প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতি’ বর্জন করে সম্প্রীতির পথে ফ্যাসিস্ত শক্তির মোকাবিলায় সকলেই যাতে এগিয়ে আসেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement