Jail Department

বন্দির সাক্ষাৎকারে প্রাচীরে কাচ, ফোন

এখন রাজ্যের বিভিন্ন জেলের পাঁচিলের লাগোয়া এলাকাতেই ছোট করে কেটে সেখানে লোহার তারের জাল লাগানো থাকে।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৫৫
Share:

এইরকম ব্যবস্থা করতে চাইছে কারা দফতর।—প্রতীকী ছবি।

লৌহকপাটের অন্তরালে দিন কাটে। পরিজন এলেও তাঁর মুখটুকুও ঠিকমতো দেখার সুযোগ মেলে না। কথা শুনতেও সমস্যা হয় বন্দি এবং তাঁর স্বজনদের। এ বার সেই সমস্যার সুরাহা করতে চাইছে রাজ্যের কারা দফতর। সাক্ষাৎকারের স্থান ও পদ্ধতিতে বদল আনতে চাইছে তারা।

Advertisement

এখন রাজ্যের বিভিন্ন জেলের পাঁচিলের লাগোয়া এলাকাতেই ছোট করে কেটে সেখানে লোহার তারের জাল লাগানো থাকে। দেখতে লাগে ছোট একটি খুপরি। সেখানেই জেলের অন্দর থেকে সাক্ষাতের জন্য হাজির করানো হয় বন্দিকে। বাইরে থেকে সেই পাঁচিলের কাছে যান বন্দির পরিজন। জাল লাগানো জায়গাটি খুবই অপ্রশস্ত। দুই প্রান্ত থেকে বন্দি এবং তাঁর পরিজন কার্যত চিৎকার করে কথা বলতে থাকেন। অনেক বন্দি এবং তাঁদের স্বজনবান্ধব কথা বলেন একই সঙ্গে। ফলে পরিষ্কার ভাবে কেউই কারও কথা শুনতে পান না। জাল দেওয়া ঘুলঘুলি এত ছোট যে, ভাল করে পরস্পরের মুখটাও দেখতে পান না বন্দি এবং তাঁর পরিজন। সেই জন্যই সাক্ষাৎকারের পদ্ধতি বদলাতে চাইছে কারা দফতর।

কেমন হবে নতুন পদ্ধতি?

Advertisement

পাঁচিল সংলগ্ন ঘর যেমন আছে, তেমনই থাকবে। তবে লৌহজালিকার পরিবর্তে থাকবে কাচ। আমেরিকার জেলে কাচ এবং ইন্টারকম ফোনের মাধ্যমে বন্দি ও স্বজনদের সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা আছে। ফলে বন্দি ও সাক্ষাৎপ্রার্থী ভাল ভাবেই পরস্পরকে দেখতে পান। এখানেও সেই বন্দোবস্ত হচ্ছে। কাচ থাকায় কেউ কারও কথা শুনতে পাবেন না। তাই সেখানে ইন্টারকম ফোনের ব্যবস্থা থাকবে। তাতে কথোপকথনের সুযোগ পাবেন বন্দি এবং তাঁর স্বজনবান্ধবেরা। প্রথমে বালুরঘাট ও বারুইপুর জেলে এই ব্যবস্থা চালু করছে কারা দফতর। রাজ্যের অন্যান্য জেলেও একই ব্যবস্থার পরিকল্পনা চলছে। শুরুতে সেন্ট্রাল জেলগুলিতে এই পদ্ধতির বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা নিয়েছে কারা দফতর।

কারা দফতরের এক কর্তার মতে, সব জেলে কাচ ও ইন্টারকম ফোনের ব্যবস্থা থাকলে বন্দি ও সাক্ষাৎপ্রার্থী পরস্পরকে সরাসরি দেখতে পাবেন এবং কথা শুনতে পাবেন। এখন বিশেষ করে সেন্ট্রাল জেলগুলিতে বন্দির সংখ্যা বেশি। তাই সাক্ষাতের সময় পরিস্থিতি হয় মাছবাজারের মতো। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বন্দিদের সঙ্গে পরিজনের কথাবার্তার সময় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকেন। নতুন ব্যবস্থায় তদন্তকারী সংস্থাই স্থির করে দেবে, কোন বন্দির সাক্ষাৎ পর্বে তারা প্রতিনিধি রাখবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement