ফাইল চিত্র।
প্রথম দিন রাজভবনের উত্তর ফটকে শুধু মানুষের বিক্ষোভ এবং পরের দিন ভেড়ার পাল নিয়ে মানুষের বিক্ষোভে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বেজায় ক্ষুব্ধ। বুধবার টুইটে ওই দুই ঘটনার উল্লেখ করে পুলিশ কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তা জানতে চেয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি। বিকেলের মধ্যে রাজভবনে সেই রিপোর্ট পৌঁছে যাওয়ার কথা থাকলেও কলকাতা পুলিশের তরফে সেই বিষয়ে কেউ কিছু বলতে চাননি। ফোনে বার্তা পাঠানো হলেও তার জবাব দেননি কলকাতার নগরপাল সৌমেন মিত্র।
সোমবার সিবিআই রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়ক-সহ চার নেতাকে গ্রেফতার করার পরে রাজভবনের সামনে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল। এক ঘণ্টারও বেশি সময় রাজভবনের উত্তর ফটকে বিক্ষোভ দেখান শাসক দলের সমর্থকেরা। পরের দিন, মঙ্গলবার এক ব্যক্তি ভেড়ার পাল নিয়ে ওই ফটকেই পুলিশের সামনে বিক্ষোভ দেখান।
পুলিশি সূত্রের খবর, সোম ও মঙ্গলবারের দু’টি ঘটনা নিয়েই হেয়ার স্ট্রিট থানায় মামলা রুজু হয়েছে। মঙ্গলবার ভেড়ার পাল নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন এক জন। আর সোমবারের ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতি চেয়ে কোর্টে গিয়েছে পুলিশ।
এ দিন সকালে রাজ্যপাল টুইটে লেখেন, সোমবার রাজভবনের উত্তর ফটকের সামনে পুলিশের সামনেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। পুলিশবাহিনীর সামনেই ‘লুম্পনেদের’ তথাকথিত প্রতিবাদ চলে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে। তাতে রাজভবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। রাজ্যপাল মনে করছেন, বিক্ষোভকারীরা সে-দিন যে-সব স্লোগান দেন, তা রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের পক্ষে মর্যাদাহানিকর। রাজভবনের মতো উচ্চ নিরাপত্তায় ঘেরা এলাকায় ওই ঘটনার পরে রাজ্যপাল এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হতে পারত বলে মনে করেন তিনি। রাজভবনের চার পাশে ১৪৪ ধারা জারি আছে। তদুপরি কয়েক জন পুলিশকর্তাও সে-দিন ছিলেন। তবু তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে রাজ্যপালের অভিযোগ।