একটি বিল তিন ধরে পাশ করানোর প্রক্রিয়া চলছে বিধানসভায়, অভিযোগ বিজেপির। —ফাইল ছবি।
বিধানসভায় একটি বিল পাশ করতে সময় লাগছে তিন দিন। এমনই দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ অভিযোগ এনেছে বিজেপি পরিষদীয় দল। মঙ্গলবার বিধানসভার বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বেই দ্বিতীয়ার্ধে 'ওয়েস্ট বেঙ্গল লেবার ওয়েলফেয়ার ফান্ড (সংশোধনী) ২০২৩ বিল’ পেশ করা হয়। কিন্তু বিল পেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, শোকপ্রস্তাবের কারণে অধিবেশন শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। বুধবার অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে বিলটি নিয়ে আলোচনা হয়ে পাশ করা হবে। বুধবার বিধানসভার বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে বিলটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু আলোচনা শুরুর আগেই স্পিকার বিমান বলেন, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। আমি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে ক’দিন হাসপাতালে থাকতে হবে। তাই আজ বিলটি আলোচনা হবে। আগামী সোমবার মন্ত্রী বিধানসভায় এসে জবাব দেবেন। তার পর বিলটি পাশ করা হবে।"
বিলটির পক্ষে বলেন, মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ ও লালগোলার বিধায়ক মহম্মদ আলি। বিরোধীদের তরফে বলেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়, অরূপ দাস, হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় ও বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। কাঁথি দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অরূপ বলেছেন, "আমদের তরফে প্রথমত এই বিলটির প্রয়োজনীয়তা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। আর যে ভাবে বিলটিকে তিন দিন ধরে দীর্ঘায়িত করা হয়েছে তা-ও অযৌক্তিক বলেই মনে হয়েছে। হয়তো মন্ত্রী অসুস্থ হয়েছেন বলেই এমনটা হয়েছে।" তাঁর আরও বক্তব্য, "মঙ্গলবার বিলটি পেশ করা হয়েছিল। সে দিন শোকপ্রস্তাবের কারণে অধিবেশন বিল পেশ করেও স্থগিত করে দেওয়া হল। যদি অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়ার ছিল, তা হলে তো প্রথমার্ধের শুরুতেই অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া যেত। তা হলে তো আর বিলটিকে দু’দিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা হত না। অহেতুক দীর্ঘসূত্রিতা করা হল।"
তবে তৃণমূল পরিষদীয় দলের দাবি, মঙ্গলবার দুপুরে বিধানসভায় আচমকা শ্রমমন্ত্রীর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা সবাই দেখেছেন। তাই এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নোংরা রাজনীতি করা বন্ধ করে, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিষয়টি দেখার চেষ্টা করুক। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিধানসভায় আচমকা নিজের ঘরে অসুস্থ হয়ে পড়েন মন্ত্রী মলয়। রক্তচাপ কমে যাওয়ায় এই সমস্যা হয়। ওই দিন শরীরে জ্বর নিয়েই বিধানসভায় এসেছিলেন তিনি। অধিবেশন শেষে নিজের ঘরে বসে বসেই অসুস্থ বোধ করেন। ডাকা হয় বিধানসভার চিকিৎসক। প্রেসার দেখে চিকিৎসক জানান, প্রেসার নেমে গিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। স্পিকার বিমান-সহ মন্ত্রীরা তাঁর ঘরে যান। শেষে হুইলচেয়ারে ফিরহাদ হাকিম মলয়কে গাড়ির কাছে নিয়ে যান। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বেলভিউ নার্সিং হোমে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।