—প্রতীকী ছবি।
দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের গোকর্ণের ‘তথ্যমিত্র’ কেন্দ্রগুলিতে জাল আধার, ভোটার কার্ড তৈরির কারবার চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে দাবি, আধার বা ভোটারের ছবি, নাম ও বয়স ‘সফ্টওয়্যার’ দিয়ে এডিট করে এমন ভাবে তৈরি করা হয়, যে সাধারণ ভাবে সন্দেহ করার উপায় নেই। সেই জাল নথি সরকারি ভাতা থেকে জমির দলিল, পাসপোর্ট তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। জেলার পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তল বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
রবিবারের দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গোকর্ণ গ্রামে খোঁজ করতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন বছর তিরিশের যুবক। ভরদুপুরে অচেনা মানুষ, সন্দেহের চোখে প্রশ্ন ছুড়লেন, ‘‘কী চাই?’’ জমির দলিল তৈরির জন্য একটা আধার কার্ড বানাতে হবে বলতে যুবকের সন্দেহ আরও বাড়ল। নাম-ধাম জানার পরেও সন্দেহ দূর না হওয়ায় ‘এখানে ও সব হয় না’ বলে জানালেন। শেষে স্থানীয় এক ব্যক্তির উল্লেখ করায় যুবক যেন কিছুটা আশ্বস্ত হলেন। সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে সেই ব্যক্তিকে ফোনও করলেন। তার পরে জানালেন, আধার কার্ডের বয়স ও নাম ‘এদিক-ওদিক’ করে দেওয়া যাবে। জানালেন, ‘‘৫০ থেকে ১০০ টাকা হলেই হয়ে যাবে।’’
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলায় এ ভাবে জাল নথি তৈরি হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বুনিয়াদপুরের এডিএসআর প্রবীর মণ্ডল অবশ্য এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘জাল আধার, ভোটার কার্ড দিয়ে জমি রেজিস্ট্রির পরে এই ঘটনা সামনে এসেছে। এ ব্যাপারে পুলিশকে জানানো হয়েছে।’’