সাবেকি সাজে পার্নো মিত্র। ছবি: ফেসবুক।
বাস্তবে পার্নো মিত্র ভীষণ যুক্তিবাদী। তথাকথিত সংস্কার তাঁর ভাবনায় শিকল পরাতে পারেনি। ব্যতিক্রম একটি বিষয়। পার্নো জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাসী। পশ্চিমি জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী তিনি বৃশ্চিক রাশি। এই শাস্ত্রের প্রতি বিশ্বাসের কারণেই তিনি সুযোগ পেলে রাশিফলও পড়েন। ৩০ এপ্রিল অক্ষয়তৃতীয়া। ওই দিন কিছু রাশির রাজযোগ রয়েছে।
পার্নো জানেন? জ্যোতিষ মতে এই বিশেষ যোগের উপরে আস্থা রাখেন তিনি?
প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার ডট কম। অভিনেত্রী অকাট্য যুক্তি দিয়েছেন, “আমি জ্যোতিষশাস্ত্র মানি। রাশিফল নিয়েও আগ্রহী। একটু-আধটু পড়াশোনাও আছে। সেই জায়গা থেকে জানি, সকলের জন্মসময় আলাদা। তাই সংবাদমাধ্যমে যে ফলাফল দেয়, সেটি প্রত্যেকের ব্যক্তিগত রাশিফলের সঙ্গে সাধারণত মেলে না।সুতরাং ‘রাজযোগ’ বলে কিছু হয় না।” ব্যক্তিগত জন্মসময়, জন্মতারিখ জেনে, অঙ্ক কষে যে ফলাফল জানান জ্যোতিষীরা, তাতে বিশ্বাসী তিনি।
আর অক্ষয়তৃতীয়ার উদ্যাপনে? সাহেবি কেতায় বড় হলেও পার্নো মনেপ্রাণে বাঙালি। তাই পয়লা বৈশাখের মতো এ দিনেও তিনি পুজো দিয়ে ঈশ্বরের আশীর্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করেন। “বাড়ির বড়দের মুখে শুনতাম, অবাঙালিদের যেমন ধনতেরাসে গয়না কেনার চল, বাঙালিদের অক্ষয়তৃতীয়ায়। লক্ষ্মী যাতে অচঞ্চলা থাকেন তার জন্যই এই আয়োজন। আমিও অল্প বয়সে সোনার ছোট ছোট গয়না কিনতাম”, বলেছেন অভিনেত্রী। গত কয়েক বছরে তাতে ছেদ পড়েছে। বদলে বাড়িতে ধান বা গম রাখতে ভোলেন না।
পার্নো শুনেছেন, গম লক্ষ্মীর প্রতীক। তিনি তাই ওই বিশেষ দিনে ঠাকুরঘরে নতুন ধান বা গম রাখার চেষ্টা করেন। একই ভাবে সাজে থাকে সাবেকিয়ানার স্পর্শ। শাড়ি, ফুল, গয়নায় সেজে ওঠেন। ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে হালখাতা করতে নির্দিষ্ট দোকানেও গিয়েছেন। এখন সে সব সোনালি স্মৃতি।