Amit Mitra

৪৫ মিনিটে একবারই কথা বললেন রাজীব কুমার, ‘অবশ্যই’

তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের প্রধান সচিব পদে বদলি হওয়ার পরে কর্পোরেট মঞ্চে এই প্রথম দেখা গেল প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধানকে।

Advertisement

গার্গী গুহঠাকুরতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৪১
Share:

অনুষ্ঠানে অমিত মিত্র এবং রাজীব কুমার। নিজস্ব চিত্র

মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্টার্ট আপ সংস্থাদের বিনিয়োগ করতে আহ্বান জানাচ্ছেন রাজ্যের অর্থ, শিল্প তথা তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। মঞ্চের আর এক প্রান্তে বসে তা শুনছেন নয়া তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প সচিব রাজীব কুমার।

Advertisement

তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের প্রধান সচিব পদে বদলি হওয়ার পরে কর্পোরেট মঞ্চে এই প্রথম দেখা গেল প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধানকে। বৃহস্পতিবার স্টার্ট আপ সংস্থাগুলিকে নিয়ে দু’দিনের সম্মেলন ‘টাইকন ২০২০’-র প্রথম দিনে অমিতবাবুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজীব। তবে এ দিন তাঁকে শ্রোতার ভূমিকাতেই দেখা গেল। আধ ঘণ্টার ভাষণের গোড়াতেই অবশ্য মন্ত্রী জানান, এ দিন তিনি নিজে ও তাঁর সচিব— দু’জনের তরফেই কথা বলবেন। কারণ, সচিব দফতরে নতুন এসেছেন। একই সঙ্গে অমিতবাবু তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পমহলের উদ্দেশে বলেন, ‘‘রাজীব রুরকি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের বি-টেক। তাই উনি আপনাদেরই লোক। পরের বার আপনারা ওঁর থেকেই শুনবেন, ওয়ান্স হি হ্যাজ গট দি ফুল পকড় অব দ্য ডিপার্টমেন্ট অ্যান্ড ইটস অ্যাক্টিভিটি‌জ়।’’

মঞ্চ ছাড়ার আগে অমিতবাবু প্রতিশ্রুতি দেন, রাজ্য সরকার কিছু দিনের মধ্যেই টাই-এর ‘ইনকিউবেশন সেন্টার’ তৈরির জন্য চিহ্নিত জমি টাইকন কলকাতার প্রধান অভিষেক রুংতার হাতে তুলে দেবে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করতে সচিবকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী। সায় দিয়ে সচিব বলেন, ‘‘অবশ্যই।’’ প্রায় ৪৫ মিনিটের অনুষ্ঠানে ওই এক বারই কথা বললেন রাজীব। গত ২৬ ডিসেম্বর গোয়েন্দা প্রধানের পদ থেকে প্রায় নজিরবিহীন ভাবে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প দফতরের প্রধান সচিব হিসেবে নিয়োগ করা হয় ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস রাজীব কুমারকে। সারদা কাণ্ডের পরে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) শীর্ষ স্থানীয় তদন্তকারী ছিলেন রাজীব। কিন্তু সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপের অভিযোগ এনেছে। এ নিয়ে প্রায় এক বছর মামলা চালাচ্ছেন রাজীব।

Advertisement

গত এক সপ্তাহ ধরে দফতরে আসতে শুরু করেছেন রাজীব। দফতর সূত্রের খবর, কাজকর্ম বুঝে নিচ্ছেন তিনি। যদিও খুব বেশি সময় কাটাচ্ছেন না দফতরে। এ দিন মঞ্চে বসে মন্ত্রীর ভাষণ শোনার সময়টুকু ছাড়া তাঁকে বিশেষ স্বচ্ছন্দ থাকতে দেখা যায়নি বলেই মনে করছে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার প্রতিনিধিরা। কয়েক জন সদস্য তাঁর সঙ্গে আলাপ করতে গেলে তিনি উত্তর দিয়েছেন। তবে বার তিনেক প্রায় জোরাজুরি করে নিজস্বী তোলার পরে দৃশ্যতই তাঁকে বিরক্ত দেখায়। ওই জায়গা ছেড়ে দ্রুত পায়ে এগিয়ে যান কিছুটা। পরে মন্ত্রীর সঙ্গে স্টার্ট আপ সংস্থাগুলির প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement