প্রতি বারের তুলনায় চলতি বছরে মায়াপুরের ইস্কনে উল্টোরথ নিতান্তই অনাড়ম্বর ভাবে পালিত হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
করোনাকালে জৌলুসহীন ইস্কনের উল্টোরথ উৎসব। বিপুল জনসমাগমের বদলে গুটিকয়েক ভক্তদের নিয়ে উল্টোরথের দড়িতে টান পড়ল। ইস্কনের মতোই প্রায় একই ছবি দেখা গেল মাহেশেও। সেখানে রাজপথে উল্টোরথ নামেনি। তবে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহ মন্দিরের চাতালে বার করা হলে সেখানেই সেগুলি দর্শন করেন ভক্তেরা।
প্রতি বারের তুলনায় চলতি বছরে মায়াপুরের ইস্কনে উল্টোরথ নিতান্তই অনাড়ম্বর ভাবে পালিত হয়েছে। প্রতি বছর নবদ্বীপের রাজাপুর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রান্ত করে জগন্নাথের মাসির বাড়ি ইস্কন মন্দিরে পৌঁছত রথ। তবে মঙ্গলবার উল্টোরথে করোনাবিধি মেনে মন্দিরের ভিতরে মাত্র ২০০ মিটার পথ অতিক্রান্ত করেছে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহে আসীন রথ। ইস্কন মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, ‘‘আগে মানুষের জীবন, তার পর রথযাত্রা। সে কারণে এ বার মাত্র ৫০ জন ভক্ত নিয়ে উল্টোরথযাত্রা পালিত হয়েছে। এই উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছিল।’’
মাহেশের মন্দিরে সারা দিন পুজোপাঠ চলে। —নিজস্ব চিত্র।
মাহেশে রথের দিন মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নারায়ণ শিলা। মঙ্গলবার উল্টোরথের দিন বিকেল ৪টের সময় হরিনাম সংকীর্তনের মাধ্যমে পদব্রজে সেই নারায়ণ শিলা জগন্নাথ মন্দিরে ফিরিয়ে আনা হয়। ভোরে মন্দিরে বিগ্রহ দর্শন ছাড়াও সারা দিন পুজোপাঠও চলে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এক বছর গর্ভগৃহের রত্নবেদীতে থাকবে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহ। মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান সেবায়েত সৌমেন অধিকারী বলেন, ‘‘সোমবার বহু জায়গায় শাক্ত মতে উল্টো রথ হয়েছে। তবে পুরী এবং মাহেশে উৎকল মতে সোজা রথের ন’দিনের মাথায় উল্টো রথযাত্রা উৎসব হয়।’’