নৌশাদ সিদ্দিকির জামিনে উচ্ছ্বসিত আইএসএফ সমর্থকরা। — নিজস্ব চিত্র।
নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ৬৪ জন জামিন পেতেই উৎসবে মাতলেন তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র ভাঙড়ের ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের অভিযোগ, বিনা অপরাধে জেল খাটানো হয়েছে নওশাদ-সহ অন্যদের। যদিও আইএসএফ শিবিরের এই ‘উচ্ছ্বাস’কে কটাক্ষ করেছেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম।
কলকাতার ধর্মতলা চত্বরে রাস্তা বন্ধ করে ‘তাণ্ডব’ চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে জামিন পেয়েছেন। সেই সঙ্গে জামিন পেয়েছেন তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া আরও ৬৩ জন। আদালতের এই নির্দেশের খবর ভাঙড়ে পৌঁছতেই সেখানকার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় উচ্ছ্বাসের ছবি। আইএসএফ কর্মী এবং সমর্থকেরা মেতে ওঠেন উল্লাসে। শুরু হয় মিষ্টিমুখ এবং আবির খেলা। নওশাদের জামিনের খবরে উচ্ছ্বসিত আইএসএফ সমর্থক হালিমা বিবি যেমন বলেন, ‘‘আনন্দের জেরে আজ এলাকায় মিষ্টি বিলি করা হচ্ছে। খিচুড়িও রান্না করা হচ্ছে। আমাদের বিধায়ক ছাড়া পাওয়ার আনন্দে আজ এলাকায় অকাল ইদ। বিনা অপরাধে ওঁকে জেল খাটানো হয়েছে।’’ একই ছবি দেখা যায় হুগলির জাঙ্গিপাড়ার ফুরফুরা শরিফেও। সেখানেও বিলি হয় মিষ্টি। আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা মাখেন আবির।
ভাঙড়ের আইএসএফ নেতা ফিরোজ খানের অভিযোগ, ‘‘মিথ্যা অপরাধে জেল হয়েছিল নওশাদ সিদ্দিকির। তার পর থেকে আমাদের সংগঠনে স্টিম রোলার চালানো হয়েছিল। আজ আমাদের এখানে অকাল ইদ। দেখে মনে হচ্ছে, সত্যিই বসন্ত এসে গিয়েছে।’’
আইএসএফ নেতা-কর্মীদের উচ্ছ্বাস নিয়ে কটাক্ষ করেছেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। তাঁর কথায়, ‘‘উনি অন্যায় করেছেন তাই জেলে গিয়েছেন। এতে আবির খেলার কী আছে? এটা মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আবার এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমি প্রশাসনকে বলব এলাকায় নজর রাখতে যাতে বড় কোনও ঘটনা না ঘটে।’’ গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচি ছিল। সেখানে বিক্ষোভের জেরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ কর্মীদের। গ্রেফতার হন নওশাদ-সহ বহু আইএসএফ কর্মী-সমর্থক। তার ৪০ দিনের মাথায় জামিন পেলেন তাঁরা।