নওসাদ সিদ্দিকী। —ফাইল চিত্র।
অবশেষে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ভাঙড়ে ঢুকতে পারলেন বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। এর আগে দু’বার তাঁকে ১৪৪ ধারার যুক্তি দেখিয়ে আটকেছিল পুলিশ। গত সোমবার সেই ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে। তাই বুধবার কাশীপুর থানার মাঝেরআইটে তাঁর অফিসে আসেন নওসাদ।
এ দিন বিধায়ককে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ভোগালি ১ অঞ্চলের আইএসএফ প্রার্থী রাজকুমার গায়েনের স্ত্রী। ভোট গণনার পরে পুলিশের উপরে হামলা, গন্ডগোলের অভিযোগে রাজকুমার গ্রেফতার হন। স্ত্রী অভিযোগ করেন, অসুস্থ স্বামীকে পুলিশ ওষুধও পৌঁছে দিতে দিচ্ছে না, নির্যাতন করছে। ভোগালি ২ অঞ্চলের কাঁটাডাঙা গ্রামের পঞ্চায়েত সমিতির আইএসএফের জয়ী প্রার্থী অহিদুল ইসলামকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁর বাবা ইদ্রিস আলি মোল্লা বিধায়কের কাছে অভিযোগে জানান, পুলিশ ছেলেকে নির্যাতন করছে। বিধায়ক জানান, সব রকম ভাবে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
নওসাদ পরে বলেন, ‘‘পুলিশ আমাদের কর্মীদের হয়রান করছে। মহিলা পুলিশ ছাড়াই রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশির নামে মহিলাদের হেনস্থা করছে পুলিশ।’’ ভাঙড় কলকাতা পুলিশের অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে নওসাদ বলেন, ‘‘এতে ভাঙড়ের ভাল হলে আমাদের আপত্তি নেই। তবে ভাঙড়কে কলকাতা পুরসভারও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’’
পুলিশ জানায়, বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত চলছে। সেই প্রয়োজনে পুলিশকে অনেক সময় গ্রামে যেতে হচ্ছে। হেনস্থা বা নির্যাতনের অভিযোগ মানেনি পুলিশ।