স্কুলে যে তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে, বেশিরভাগ সময়ই সে কথা বাড়িতে জানায় না বাচ্চারা। এ ক্ষেত্রে বাবা-মাকে সজাগ থাকতে হবে। বাচ্চার খুঁটিনাটি জেনে বুঝতে হবে সে স্কুলে কী পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছে।
• সন্তানের চরিত্র বাবা-মাই সব থেকে ভাল বোঝেন। যদি বাচ্চা মুখচোরা, ভীরু স্বভাবের হয় তাহলে অভিভাবকদের তার প্রতি বেশি যত্নবান হতে হবে।
• সন্তানের আচরণে হঠাৎ করে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে কি না দেখা জরুরি। বাচ্চা স্কুলে যেতে না চাইলে, সব সময় ঘ্যান ঘ্যান করলে, ঠিকমতো না ঘুমোলে বিষয়টিতে নজর দেওয়া দরকার।
• যদি দেখেন সন্তানের মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটছে, তাহলে বিষয়টিতে গুরুত্ব দিন। খোঁজ নিয়ে দেখুন আপনার সন্তান স্কুলে হেনস্থার শিকার হচ্ছে কি না।
• যদি দেখা যায় স্কুলে সত্যিই এমন কিছু ঘটছে, তাহলে প্রথমেই আপনার সন্তানের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুন।
• স্কুলে গিয়ে চিৎকার করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করবেন না।
• সন্তানের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের জীবনের উদাহরণ দিন। বলুন এমন পরিস্থিতিতে আপনি কী করেছিলেন। যে ঘটনা ঘটেনি, উদাহরণস্বরূপ তেমন দৃশ্যকল্প খাড়া করেও সন্তানকে বোঝাতে পারেন।
• সন্তানকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে শেখান। পাল্টা মার না দিয়েও যে অবস্থা স্বাভাবিক করা যায় তা শেখান।
• এ সবে লাভ না হলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলুন। প্রয়োজনে লিখিত অভিযোগ করুন। সন্তান ওই স্কুলে পড়ে বলে গুটিয়ে থাকবেন না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন।
তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে দরবারের সময় আপনার আচরণ যেন সংযত থাকে। শিক্ষকদের প্রতি বিরুদ্ধ মনোভাব যেন প্রকাশ না পায়। এর প্রভাব সন্তানের উপর পড়বে। এবং তাতে আখেরে তার ক্ষতিই হবে।
সেরা পাঁচ
সামান্য বদলেই আরও স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারে জীবনযাত্রা।
খোঁজ দিচ্ছে আনন্দবাজার।
জলই জীবন
জল এবং জল জাতীয় খাবার বেশি করে খান। তা এনার্জি দিতে, শরীরের টক্সিন তাড়াতে সাহায্য করবে। তবে ঠান্ডা পানীয় বা সোডা নয়, লেবুর জল বা ফলের রস খান।
চিনি কম
চিনির স্বাস্থ্যগুণ তো নেইই, বরং চিনি খেলে ওজন বাড়া, বার্ধক্যের লক্ষণও আসতে পারে। মিষ্টি চাইলে ফল খান।
নড়েচড়ে
শরীরকে নড়াচড়া করান। জিমে যেতে না পারলে হাঁটতে যান, খালি হাতে এক্সারসাইজ করুন। অনেক ঝরঝরে লাগবে।
সবুজ সঙ্গী
খাবারে থাকুক সব্জি। পুষ্টিগুণ তো আছেই, ত্বক ভাল রাখা, স্ট্রেস দূর করা, এমনকী মুড ভাল করতেও সাহায্য করে সবুজ সব্জি।
মন খুলে
শুধু ‘করা’ নয়, ‘না করা’ টাও সুস্থ থাকতে খুব গুরুত্বপূর্ণ। রিল্যাক্স করুন, নিজের সঙ্গে সময় কাটান। যথেষ্ট ঘুমও সুস্থ থাকতে দরকারি।