অধীর চৌধুরী, রাহুল সিংহ, মহম্মদ সেলিম এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
সালটা ২০১০। প্রায় এক বছর আগেই মমতা আর কংগ্রেসের জোট আভাস দিয়ে দিয়েছে, বাংলার ক্ষমতার দখল তারা বামেদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে চলেছে। ২০০৯ সালে হওয়া লোকসভা নির্বাচনেই রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৬টি জিতে নিয়েছে জোট। বিধানসভা নির্বাচনটা হলেই রাইটার্স থেকে বাম-বিদায়, বেশ বোঝা যাচ্ছে তখন।
সেই পরিস্থিতিতেই আগুনটা লাগল। মার্চ মাস। পার্ক স্ট্রিটের বহুতল বাড়ি স্টিফেন কোর্ট জ্বলে উঠল দাউদাউ করে। মৃত্যুর মিছিল বেরিয়েছিল বাড়িটা থেকে। বহু পরিবার বেঘর হয়ে গিয়েছিল।
স্টিফেন কোর্টের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে তৎকালীন রাজ্য সরকারকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিলেন তদানীন্তন বিরোধী দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভা এবং দমকল-সহ রাজ্য সরকারের নানা বিভাগ মমতার তীব্র আক্রমণের মুখে পড়েছিল। স্টিফেন কোর্ট অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা এবং রাজ্য সরকারের গাফিলতির কথা মুখে মুখে ফিরতে শুরু করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই তীব্র কণ্ঠস্বরের কারণে।
শুধু স্টিফেন কোর্টকাণ্ডে অবশ্য সীমাবদ্ধ ছিল না বিরোধী নেত্রী মমতার ওই চড়া সুর। ২০০০ সালের বন্যাকে ‘ম্যানমেড’ আখ্যা দিয়ে গোটা রাজ্যে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। নদিয়ার ধানতলায় বাস থামিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটার পরে অগ্নিমূর্তি ধরেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। কংগ্রেসে থাকাকালীন ভিখারি পাসোয়ান কাণ্ড নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন এখনও মুখে মুখে ফেরে।
বাম আমলে শাসকের বিরুদ্ধে ছোট-বড় যে ইস্যুই পাওয়া গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার তার সুযোগ নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। নৌকাডুবি হোক বা ডাকাতি, অনাহারে মৃত্যু হোক বা দলীয় কর্মীদের উপরে হামলা— প্রতিটি অবকাশে বাঘের মতো মাঠে নামতে দেখা গিয়েছে মমতাকে।
আজকের বিরোধীদের নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সেই প্রসঙ্গেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসন কালে যখন একের পর এক বিস্ফোরক ইস্যু উঠে আসছে, তখন বিরোধী দলগুলি কী করতে পারছে? সারদা কাণ্ড বা নারদ কাণ্ডের মতো ‘কেলেঙ্কারি’ এ রাজ্যে আগে কখনও ঘটেনি বলে বিরোধী দলগুলিরই দাবি। পোস্তায় নির্মীয়মান উড়ালপুল যে ভাবে ভেঙে পড়েছিল, তেমন ঘটনাও কলকাতায় বেনজির বলে বিরোধীরা মনে করেন। বিরোধীদের হাতে থাকা যে কোনও পুর বা পঞ্চায়েত বোর্ড জোর করে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ, বিরোধী বিধায়ক বা সাংসদদের তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করার অভিযোগ, রাজ্যের প্রায় সর্বত্র বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ— সে সব তো রয়েইছে। গত কয়েক বছর ধরে বাম, কংগ্রেস বা বিজেপি আবার বলতে শুরু করেছে, এ রাজ্যে ভোটই হয় না। নির্বাচনের নামে অবাধ ভোট লুঠ হয়।
এ রাজ্যে ভোট হয় না, এই অভিযোগ বিরোধী আসনে থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করতেন। তবে, মমতার কণ্ঠস্বর ছিল আরও অনেক তীব্র। অনুপ্রবেশকারী এবং ভোটার তালিকা সংশোধন সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তাল করে দিয়েছিলেন গোটা সংসদ। স্পিকারের আসনের দিকে কাগজের তাড়া ছুড়ে মেরেছিলেন। তাঁর সেই রুদ্রমূর্তি সাড়া ফেলেছিল গোটা দেশে।
এখনকার বিরোধী পক্ষের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে আরও বেশি ভোট লুঠ হয়। দৃষ্টান্ত হিসাবে বিভিন্ন পুরসভার নির্বাচনের কথা তুলে ধরছেন বিরোধীরা। ধরে নেওয়া যাক, বিরোধীদের অভিযোগ সত্য। ধরে নেওয়া যাক, এই জমানায় ভোটগ্রহণের দিনে শাসকের দাপট আরও বেড়েছে। তাই যদি হয়, তা হলে সে সবের বিরুদ্ধে বিরোধীদের কণ্ঠস্বরও আরও তীব্র হওয়া উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম জমানার ‘রিগিং’ নিয়ে যতখানি সরব হয়েছিলেন, এখন তার চেয়েও অনেক বেশি সরব হওয়া উচিত এ রাজ্যের বিরোধী নেতাদের। কিন্তু বাস্তবে সে রকমটা কি ঘটছে? রাজ্যনৈতিক বিশ্লেষক থেকে সাধারণ নাগরিক, প্রত্যেকেরই উপলব্ধি সে রকমটা ঘটছে না। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে ঝাঁঝ ছিল, এখনকার বিরোধীরা তার ধারে-কাছে যান না।
মাঝেরহাটে ব্রিজ ভেঙে পড়া শাসকের বিরুদ্ধে বড় অস্ত্র হাতে পাওয়ার সাম্প্রতিকতম নিদর্শন। কিন্তু প্রশ্ন হল, বিরোধীরা তা নিয়ে কতটুকু আলোড়ন ফেলতে পারলেন? মিছিল, মিটিং, অবরোধ, বন্ধের ডাক, অবস্থান বিক্ষোভ— প্রায় কোনও কিছুই দেখা গেল না বিরোধীদের তরফ থেকে। কয়েক বার দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়া, সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করা আর সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের বান ডাকানো— এর বাইরে প্রায় কিছুই করতে পারেননি অধীর চৌধুরী, দিলীপ ঘোষ বা সূর্যকান্ত মিশ্ররা।
নিখোঁজ চটকল শ্রমিক ভিখারি পাসোয়ানের বাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
সরকারের বিরুদ্ধে কোনও ইস্যু হাতে পেলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে মাঠে নামতে পারতেন, সে ভাবে কেন পারেন না এখনকার বিরোধী নেতারা? গত আড়াই বছরে অন্তত চারটে ব্রিজ ধসে পড়ল রাজ্যের নানা প্রান্তে। কতটা শোরগোল ফেলতে পারলেন তা নিয়ে বিরোধীরা? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সব ঘটনা যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী আসনে থাকাকালীন ঘটত, তা হলে এত দিনে আন্দোলন সামলাতেই নাজেহাল হয়ে যেত সরকার। কিন্তু সরকারকে নাস্তানাবুদ করার মতো কোনও আন্দোলন কংগ্রেস, বামফ্রন্ট বা বিজেপি এখনও তৈরি করতে পারেনি বলে বিশ্লেষকদের মত।
বিরোধী নেতারা কী বলছেন এ প্রসঙ্গে? কংগ্রেস, বাম, বিজেপি— তিন দলের নেতৃত্বই প্রায় একই রকম উত্তর দিচ্ছেন এ প্রশ্নের।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বললেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতিটা তো নৈরাজ্য তৈরি করার রাজনীতি। কংগ্রেস কোনও দিন ওই রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথ ধরে কংগ্রেস চলবে না।’’ কিন্তু নিজের পথে চলে লাভ কী হচ্ছে? নীতি-আদর্শ বজায় রেখে রাজনীতি করা নিশ্চয়ই ভাল। কিন্তু গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে নির্বাচনী সাফল্যও তো বড় কথা। ‘নৈরাজ্য তৈরি করে’ হোক বা অন্য কোনও ভাবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে সাফল্য পেয়েছেন। কংগ্রেস তো বছরের পর বছর পিছিয়েই পড়ছে এ রাজ্যে। বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এ বার রক্ষণাত্মক। বললেন, ‘‘অস্বীকার করব না যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফল্য পেয়েছেন। কিন্তু যে রাজনীতি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফল্য পেয়েছিলেন, ক্ষমতায় এসে তো সেই রাজনীতিরই নিন্দা করছেন। বন্ধ-অবরোধ তো তাঁর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ছিল। এখন বলছেন বন্ধ-অবরোধ চলবে না।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির প্রশ্ন, ‘‘এমন রাজনীতি করব কেন, পরবর্তী কালে নিজেকেই যে রাজনীতির নিন্দা করতে হবে?’’
আরও পড়ুন: করবটা কী? ওতো বামেদের পরিষদ, ফাঁসিদেওয়া নিয়েও দায় এড়াল শাসকদল
সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য তথা সাংসদ মহম্মদ সেলিমের বয়ানও প্রায় হুবহু মিলে যাচ্ছে অধীর চৌধুরীর বক্তব্যের সঙ্গে। মমতা যে ভাবে বেকায়দায় ফেলেছিলেন বামেদের, বামেরা আদৌ তেমনটা ফেরত দিতে পারছে মমতাকে? এ প্রশ্নের জবাব দিলেন না সেলিম। পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন— ‘‘আপনারা কি চান আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে চলি?’’ রায়গঞ্জের সাংসদ তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এর পরে বললেন, ‘‘আমরা বামপন্থী রাজনীতি করি, আমাদের দলটা একটা বামপন্থী দল। সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি মেনে আমাদের দলটা চলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো হিস্টিরিয়ার রাজনীতি আমরা করতে পারব না।’’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে সেলিম বলে চলেন, ‘‘উনি রাজনীতি বা আন্দোলনের নামে হিস্টিরিয়া তৈরি করতেন। মানুষকে হিস্টিরিয়াগ্রস্ত করে তুলতেন। ওই পথে সিপিএম চলতে পারবে না’’
স্টিফেন কোর্ট অগ্নিকাণ্ডের পর রাস্তায় মমতা।—ফাইল চিত্র।
মহম্মদ সেলিমের কথায়, ‘‘মাঝেরহাটে সেতুটা ভেঙে পড়ার পরে আমরা রাস্তায় নামতে পারতাম। এখানে সেখানে অবরোধ করে শহরটাকে অচল করে দিতে পারতাম। তাতে কী হত? ব্রিজ ভেঙে পড়ার পরে যে মানুষগুলো রোজ বহু ঘুরে যাতায়াত করছেন, তাঁরা আরও সমস্যায় পড়তেন।’’
একেবারে একই সুরে অধীর চৌধুরী বললেন, ‘‘মাঝেরহাট ব্রিজটা ভেঙে পড়ার পরে কলকাতার কোনও একটা রাস্তা আমরা যদি অবরোধ করে দিতাম, তা হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ত। সত্যি বলছি, আমরা ওই রাজনীতিটা করি না।’’
আরও পড়ুন: কাজ বন্ধ রাখতে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে চিঠি কলকাতা পুলিশের
বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ অবশ্য আর একটু আত্মবিশ্বাসী। রাজ্যে সম্প্রতি বিজেপির জনসমর্থন বাড়ার প্রেক্ষিতেই হয়তো রাহুলের এই আত্মবিশ্বাস। তিনি বললেন, ‘‘সবাইকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে চলতে হবে, তার তো কোনও মানে নেই। ঠাকুর রামকৃষ্ণ বলেছেন, যত মত, তত পথ। আমরা আমাদের পথ ধরে এগোচ্ছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙচুর আর আগুন লাগানোর রাজনীতি করে যেখানে পৌঁছেছিলেন, আমরা আমাদের নিজেদের পথ ধরেই সেখানে পৌঁছব।’’
কী ভাবে পৌঁছবেন? দীর্ঘ বাম শাসনের অবসান মমতা ঘটিয়েছিলেন নিজের ‘অগ্নিকন্যা’ ভাবমূর্তিতে ভর করেই। আর বর্তমান সরকার তো পুলিশ-প্রশাসনকে বামেদের চেয়েও বেশি করে দলদাস বানিয়ে ফেলেছে বলে আপনাদেরই দাবি। জঙ্গি আন্দোলন ছাড়া এমন শাসককে হঠানো সম্ভব? রাহুল বললেন, ‘‘দেখে নেবেন, সম্ভব কি না। কাউকে কিছু করতে হবে না। যা করার মানুষই করে দেবেন। একটা ভোট ঠিক মতো হতে দিন শুধু।’’
বিরোধী নেতারা যা-ই বলুন, এ রাজ্যে বিরোধী রাজনীতির পরিসরে যে বেশ কিছুটা শূন্যতা দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কোনও সংশয় নেই। মাঝেরহাট ব্রিজ ভাঙার প্রসঙ্গ টেনেই বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলছেন। অধীর-সেলিম বলছেন, ব্রিজ ভাঙার পরে বন্ধ, অবরোধ বা অবস্থানের রাস্তায় হাঁটলে জনসাধারণের দুর্ভোগ আরও বাড়ত। তাঁরা আরও বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই দুর্ভোগ বাড়ানোর রাজনীতিটাই করতেন। তা হলে কি ধরে নিতে হবে যে, জনসাধারণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে মমতা ক্ষমতায় চলে এসেছিলেন? এ প্রশ্নের কোনও স্পষ্ট বা সরাসরি উত্তর বিরোধী দলগুলির কাছে নেই। বিরোধীদের জন্য অস্বস্তিকর প্রশ্ন আরও রয়েছে। সেতু বিপর্যয়ের পরে জনতার দুর্ভোগ আর বাড়াতে চাননি, ভাল কথা। দুর্ভোগ না বাড়িয়ে অন্য কোনও উপায়ে কি আলোড়ন ফেলা যেত না সরকারের বিরুদ্ধে? নিদেনপক্ষে রাজ্যপালের কাছেও কি ছুটে যাওয়া যেত না? রাজ্য সরকারের সচিবালয় কি ঘেরাও করা যেত না? সরকার বিরোধী কণ্ঠস্বরটাকে তুঙ্গে তোলার কোনও চেষ্টাই কি হয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস বা বামেদের তরফে? এ সব প্রশ্নের সদুত্তর পাওয়াও দুরাশা।
উত্তর না দিতে পারলেও পাল্টা প্রশ্ন তোলায় বাধা নেই। অতএব মহম্মদ সেলিমের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘আপনারা কি আমাদেরও মমতা হতে বলছেন? পশ্চিমবঙ্গ আরও একটা মমতাকে সহ্য করতে পারবে তো?’’
আরও পড়ুন: মাঝেরহাটে অবিলম্বে মেরামতি দরকার! রাজ্যকে আগেই চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছিল রেল
সেলিমের তোলা এই প্রশ্নকে কটাক্ষ করছে তৃণমূল। শাসক দলের নেতারা শ্লেষের সুরে প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন— ‘‘সেলিম কি চাইলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হতে পারবেন? কী ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইখানে পৌঁছেছেন, সেলিম জানেন তো? চাইলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হওয়া যায় তো?’’
(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া - পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)