উত্তাল রূপনারায়ণ। জল ঢুকছে তীরবর্তী এলাকায়। শুক্রবার তমলুকে।—নিজস্ব চিত্র।
খাতায়-কলমে বর্ষা বিদায় নিলেও আচমকা নিম্নচাপে কার্যত ভেসে গিয়েছে কালীপুজো।
প্রশ্ন উঠেছে, বর্ষা বিদায় নেওয়ার পরেও নিম্নচাপের এমন জোরালো প্রভাব কেন? এটা তা হলে কি জলবায়ুতে বদলের পূর্বাভাস?
রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনস্থ সংস্থা ‘ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’-এর রিপোর্টে এমনই ইঙ্গিত দেওয়া রয়েছে! যদিও কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানীরা এই নিম্নচাপের সঙ্গে জলবায়ু বদলের সম্পর্ক স্থাপন করছেন না। তাঁরা বলছেন, বর্ষা বিদায়ের পরেও সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয় এবং জোর বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝ়ড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। অতীতে বহু বছরই এমন ঘটনা লক্ষ করা গিয়েছে।
সাধারণত, নিম্নচাপ স্থলভূমিতে ঢুকে পড়ার পরে দুর্বল হতে শুরু করে দেয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তেমনটা হচ্ছে না। কেন?
কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, নিম্নচাপটি সাগর থেকে খুব বেশি দূরে থাকছে না। ফলে সে ক্রমাগত জলীয় বাষ্পের জোগান পাচ্ছে। তার ফলেই ক্রমাগত বৃষ্টি ঝরাচ্ছে নিম্নচাপটি। তিনি বলেন, ‘‘নিম্নচাপটি সরে গেলেই বৃষ্টির দাপট কমবে। আজ, শনিবার দক্ষিণবঙ্গে শুধু নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে জোরালো বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।’’
আবহবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এ রাজ্য থেকে বর্ষা পাততাড়ি গুটিয়ে নিয়েছে। ফলে এই নিম্নচাপের প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা কম। নিম্নচাপটি রাজ্যের সীমা পেরোলেই দ্রুত আকাশ সাফ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মিলবে হেমন্তের আবহাওয়াও।