পাঁচ বছরের কাজ, বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন জেলা সভাধিপতিরা। আজ উত্তর দিনাজপুরের লিপিকা রায়।
Lipika Roy

‘পরিযায়ীদের জন্য পর্যাপ্ত প্রকল্প নেই গ্রামে’

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু যা-ই হোক না কেন, সেই পঞ্চায়েতগুলি তৃণমূলের হাত থেকে চলে যায়নি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৩ ০৬:৪১
Share:

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি লিপিকা রায়। নিজস্ব চিত্র

প্রশ্ন: তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ গত পাঁচ বছরে কী কী কাজ করল?

Advertisement

উত্তর: রাস্তা, পানীয় জল এবং আলো দেওয়ার কাজ হয়েছে। আরও কিছু কাজের জন্য প্রস্তাব পাঠানো ছিল রাজ্যের কাছে। কয়েকটি সেতু এবং কিছু প্রকল্পে রাজ্যের টাকা প্রয়োজন ছিল। জেলা পরিষদগুলিতে কেন্দ্রের টাকা ১০ গুণ কমে গিয়েছে।

প্রশ্ন: কৃষকদের জন্য কিছু প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল?

Advertisement

উত্তর: ছোট-বড় বেশ কয়েকটি সেচ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া, রাজ্যের যে সব প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়, সেগুলি করা হয়েছে।

প্রশ্ন: করোনার পরেও পরিযায়ী হিসেবে বাইরে যাওয়ার হার বাড়ছে। পরিযায়ীদের কী সুবিধা দিলেন?

উত্তর: সবচেয়ে বড় সমস্যা, একশো দিনের কাজের টাকা আটকে যাওয়া। ছোটখাটো কিছু পরিকল্পনা পরিযায়ীদের জন্য নেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। কেন্দ্রীয় সরকার গ্রামের কর্মসংস্থান বন্ধ করে দিয়েছে। রাজ্যের টাকায় কিছু প্রকল্পের কাজ চলছে। তবে তা পর্যাপ্ত হচ্ছে নয়। তাই কিছু পরিযায়ী বাইরে যাচ্ছেন।

প্রশ্ন: ২০১৮ সালের পর থেকে বেশ কিছু পঞ্চায়েতে তৃণমূলই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে ক্ষমতা বদল করেছে।

উত্তর: গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু যা-ই হোক না কেন, সেই পঞ্চায়েতগুলি তৃণমূলের হাত থেকে চলে যায়নি। ফলে আসন্ন ভোটে এর প্রভাব বিশেষ পড়বে না।

প্রশ্ন: আবাস যোজনায় বহু তৃণমূল নেতা এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠদের নাম থাকার অভিযোগ উঠেছে। দেড় লক্ষ নাম ছিল তালিকায়। সমীক্ষার পরে ৯০ হাজার হয়ে গেল। কী করে?

উত্তর: এমন কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটতে পারে। তবে তা সার্বিক চিত্র নয়। বরং, গত পাঁচ বছর ধরে এই প্রকল্পে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে পর পর সমীক্ষা হয়েছে। তত দিনে অনেকেই মাটির বাড়ি নিজেরা পাকা করেছেন। বেশিরভাগই এ রকম নাম বাদ গিয়েছে। প্রক্রিয়া স্বচ্ছই ছিল। তালিকা তৈরি, কিন্তু কেন্দ্র টাকা দিল না!

প্রশ্ন: ‘দিদির দূত’ হয়ে যাওয়া নেতা-নেত্রীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল কেন?

উত্তর: কোনও উন্নয়ন-ব্যবস্থাতেই ১০০% লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। কিছু এলাকায় ক্ষোভ ছিল। তবে তা সামান্যই। জেলার সব পঞ্চায়েতে ঘুরেছেন তৃণমূল নেতা এবং দলের জনপ্রতিনিধিরা। পুরো প্রক্রিয়ায় দু’-একটি বিক্ষিপ্ত ক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।

প্রশ্ন: রাজ্যে দুর্নীতি এবং কাটমানির অভিযোগ সব এলাকায়। এই জেলায় বালি-মাফিয়ারা নিজেদের ‘নেটওয়ার্ক’ তৈরি করেছে বলেও অভিযোগ।

উত্তর: দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে, সেগুলির যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাকিটা আদালতে বিচারাধীন। তাই কিছু বলছি না। এ সবের সঙ্গে গ্রামীণ ভোটারদের সম্পর্ক সরাসরি নেই। তাঁদের কাছে বুনিয়াদি পরিষেবা পাওয়াটাই বড় লক্ষ্য। তা আমরা সফল ভাবেই করেছি।

সাক্ষাৎকার: শান্তশ্রী মজুমদার

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement