ছবি: সংগৃহীত
জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-র যোগ মালদহে আছে কি না, তার খোঁজ শুরু করেছেন পুলিশ ও গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার ভোরে মালদহের সামসি স্টেশন থেকে দুই সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গি আব্দুল বারি ও নিজামুদ্দিন খানকে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ গ্রেফতারের পর জেলা পুলিশও ওই জঙ্গি সংগঠনের হালহকিকত জানতে খোঁজখবর করা শুরু করেছে। সূত্রে খবর, সন্দেহজনক এলাকা হিসেবে বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা ইংরেজবাজার ব্লকের মহদিপুর থেকে কালিয়াচক-৩ ব্লকের পারদেওনাপুর শোভাপুর এলাকায় জেএমবির কোনও যোগসুত্র রয়েছে কি না তার খোঁজ চলছে। রতুয়া-১ ব্লকের ভাদো ও সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের মতো বিহার ঘেঁষা কিছু গ্রামও গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে।
জেএমবি-র এ দেশের অন্যতম চাঁই মহম্মদ ইজাজকে কিছু দিন আগে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তাকে জেরা করে আব্দুল বারি ও নিজামউদ্দিন খানের নাম জানা যায়। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, জেএমবি-র ওই দুই সদস্য সম্ভবত মালদহের রতুয়ার ভাদো এলাকায় গিয়েছিল এবং কোথাও আশ্রয় নিয়েছিল। ভাদো থেকে সামসি খুবই কাছে। তাই ভাদো থেকে সামসি স্টেশনে এসে ট্রেন ধরে তারা দক্ষিণ ভারতে পালানোর ছক কষছিল। এর পরেই জেএমবির সঙ্গে জেলার কোনও যোগ আছে কিনা, তা নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়।
মালদহ জেলার মহদিপুর থেকে কালিয়াচক-৩ ব্লকের ওপারে থাকা বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রোহনপুর, কানসাট ও শিবগঞ্জ এলাকা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই এলাকায় সীমান্তের একাধিক জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। ফলে এই এলাকাকে করিডর করে মালদহের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে ডেরা বানিয়ে এই জেলাতেও সংগঠনকে মজবুত করার কারবার চালাতে পারে জেএমবি জঙ্গিরা। তাই সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামগুলিতে খোঁজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, গোয়েন্দাদের নজরদারিতে রয়েছে রতুয়ার ভাদো ও সামসি এলাকাও। মালদহ থেকে সড়ক ও রেলপথে সর্বত্র যোগাযোগ ভাল থাকায় এই জেলাকে যাতায়াতের মাধ্যম করতে পারে জেএমবি, মনে করছে পুলিশ। যদিও এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তবে জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘সামসি থেকে এসটিএফ দুই জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতারের পরে জেলায় তাদের কোনও কার্যকলাপ রয়েছে কি না, তা নিয়ে খোঁজ শুরু করা হয়েছে।’’