বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুব তৃণমূল নেতা নাজমূল হাসান দপ্তরী। —নিজস্ব চিত্র।
ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। যুব তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল বিধায়ক তথা রাজ্যের এক মন্ত্রীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্থি থানার এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, মন্ত্রীর অনুগামীদের মারধরের ফলে গুরুতর আহত হয়েছেন যুব তৃণমূল নেতা নাজমুল হাসান দপ্তরী। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই উস্থি থানায় বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে যুব তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বিধায়ক তথা রাজ্যের সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা প্রতিমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লার সমর্থকদের প্রকাশ্যে বিবাদ চলছিল। অভিযোগ, যুব তৃণমূলের তরফের এলাকায় মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা এবং তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে লাগাতার পোস্টার লাগাচ্ছিলেন দলের একাংশ। বিধায়ক বিরোধী বেশ কয়েকটি সভাও অনুষ্ঠিত হয় বলে অভিযোগ।
সোমবার দুপুরে উস্থি থানার অন্তর্গত সংগ্রামপুরের হরিহরপুর এলাকায় বাজার করতে গিয়েছিলেন স্থানীয় যুব তৃণমূলের কার্যকরী নাজমুল। বাড়ি ফেরার সময় হরিহরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের সামনে বেশ কয়েক জন তৃণমূলকর্মী নাজমুলকে মারধর করে বলে অভিযোগ। মারধরের জেরে মাথায় ও হাতে গুরুতর চোট পান তিনি। নাজমুলের অভিযোগ, বিধায়কের অনুগামীরাই তাঁকে মারধর করেছে।
আরও পড়ুন: অভিষেকের ‘গুন্ডা’ মন্তব্যে আইনি নোটিস দিলেন দিলীপ ঘোষ
আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে অশোক, ফিরহাদ এক মঞ্চে, কটাক্ষ দিলীপের
ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারাই আহত নাজমুলকে উদ্ধার করে এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে রেফার করা হলে ডায়মন্ডহারবারের অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়।
এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে উস্থি থানার পুলিশ। তবে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা প্রতিমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। তিনি বলেন, “পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোন সম্পর্ক নেই।”