গুলিবিদ্ধ: বিপ্লব সরকার
ক’দিন আগেও দাড়িভিট শুনলে চোখের সামনে একটি শান্ত গ্রামের ছবি ভেসে উঠত। সেই দাড়িভিটের নাম শুনলেই এখন আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে অনেককে। তাঁদের মধ্যেই রয়েছে গুলিবিদ্ধ ছাত্র বিপ্লব সরকারও। বিপ্লবকে শনিবার শিলিগুড়ির স্টেশন ফিডার রোডের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানেই সিসিইউ ওয়ার্ডে তাকে রাখা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুলে গুলিতে দু’জনের মৃত্যু হয়। দাড়িভিট স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র বিপ্লবও গুলিতে জখম হয়েছে। তার হাঁটুর কাছে গুলি লেগেছে। কিন্তু গুলি বেরিয়ে গিয়েছে। প্রথমে তাকে ইসলামপুরে ভর্তি করা হলেও সেখান থেকে শিলিগুড়িতে নিয়ে আসা হয়।
বিপ্লবের বাবা গোবিন্দবাবু পেশায় কৃষিজীবী। তিনি বলেন, ‘‘মাঝে মধ্যেই ঘুমের মধ্যে আঁতকে উঠছে বিপ্লব। সেদিনের কথা বারবার বলছে। গ্রামের পরিস্থিতি সম্পর্কে বারবার জিজ্ঞেস করছে।’’ কথা বলতে বলতেই চোখ চিকচিক করে ওঠে গোবিন্দবাবুর। কবে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে গ্রাম—প্রশ্ন করেন গোবিন্দবাবু।
নার্সিংহোম থেকে সুস্থ হয়ে দ্রুত নিজের গ্রামে ফিরতে চায় বিপ্লবও। সে এদিন জানায়, ‘‘পুজোর সময় পুলিশ প্যান্ডেলে এলে আমরা নিজের হাতে তাদের প্রসাদ দিতাম। স্কুলেও কতবার অনুষ্ঠানে পুলিশের লোকজন এসেছেন। তাঁদের আপ্যায়নের দায়িত্বও আমাদের উপরেই এসে পড়ত। তারপরেও এমনটা হয়ে গেল তা ভাবতে পারছি না।’’ এখন নিজের দাড়িভিট গ্রামের নাম শুনলেই সে দিনের ছবি ভেসে উঠছে।