ভারত পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আলাদাভাবে একটা উত্তেজনা থাকেই। সম্প্রতি ধর্মশালা থেকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়েই ইডেনে ভারত পাকিস্তান ম্যাচ বদলি করা হয়েছে। তার ওপর ১৯ মার্চের ইডেনের এই ম্যাচ দর্শকাসন সম্পূর্ণ ভরে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তার ওপর থাকছেন খেলা ও বিনোদন জগতের একাধিক তারকা। তাই এই ম্যাচে যাতে কোনওরকম গণ্ডগোল না হয়, তার জন্য নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে কলকাতা পুলিশের তরফে। বৃহস্পতিবার লালবাজার সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে।
কী কী ব্যবস্থা থাকছে কলকাতা পুলিশের তরফে? এ দিন লালবাজারে যুগ্ম কমিশনার (সদর) সুপ্রতিম সরকার জানান, জনগণের সুবিধার জন্য খেলা শুরুর তিন ঘন্টা আগে বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে ইডেনের সমস্ত গেট খুলে দেওয়া হবে। ধর্মশালার টিকিট নিয়ে এখানে এসে ম্যাচ দেখা যাবে না। কোনও পয়সা খরচ না করে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের অনলাইনের টিকিট কাউন্টারে টিকিট বদলি করে নেওয়ার জন্য দর্শকদের অনুরোধ করা হচ্ছে। তিন বার দর্শকদের টিকিট পরীক্ষা করা হবে।
এই ম্যাচের নিরাপত্তার জন্য মাঠে থাকছেন ৯ জন যুগ্ম কমিশনার, চার জন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার। এছা়ড়াও থাকবেন ২১ জন ডেপুটি কমিশনার, ৪৪ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। থাকছেন ১৩০জন ইনস্পেক্টর, ৪১৪জন সাব-ইনস্পেক্টর ও সার্জেন্ট, ৩৭৫জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর এবং ২২০০ কনস্টেবল। স্ট্র্যান্ড ব্যাঙ্ক রোড, পুলিশ মেমোরিয়াল এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে থাকছে তিনটি ‘কুইক রেসপন্স টিম।’ সঙ্গে থাকছে ৫টি পুলিশ হেল্প বুথ। ৯টি ওয়াচ টাওয়ার, ১১ টি বালির বাঙ্কার, চারটি গেটের সামনে পাঁচটি বুলেট-প্রুফ মোর্চা এবং ৭টি অ্যাম্বুল্যান্সও থাকবে। জাল টিকিট রুখতে থাকবে লালবাজারের গুণ্ডাদমন শাখা। ব্যবহার করা হবে ড্রোন। প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে ব্যাকপ্যাকও।
ম্যাচ শেষে দর্শকদের ফিরতে যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য পরিবহণ ভবনে চিঠি দিয়ে পুলিশের তরফে অনুরোধ জানানো হয়েছে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য থাকছে বিভিন্ন রঙের স্টিকারভিত্তিক আলাদা আলাদা ব্যবস্থা। স্টিকার ছাড়া গাড়িগুলিকে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে রেঞ্জার্স রোডে। সমস্ত বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (দ্বিতীয়) জয়ন্ত কুমার বসু।