Durga Puja 2019

পুজোর দখল নিতে পারেনি বলেই আয়কর নোটিস: বঙ্গজননীর মঞ্চ থেকে তোপ ববির

রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যারে এ দিন সকাল ১০টা থেকে বঙ্গজননী শাখার ধর্না শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৯ ২১:১২
Share:

পুজো কমিটিকে আয়কর নোটিস দেওয়া নিয়ে এ বার তোপ ফিরহাদ হাকিমের। —ফাইল চিত্র।

দখল নিতে পারেনি, তাই ‘অত্যাচার’ করছে পুজো কমিটিগুলোর উপরে। বিজেপির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার এই অভিযোগই আনলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমদুর্গাপুজো কমিটিগুলোকে আয়কর দফতর নোটিস ধরিয়েছে বলে অভিযোগ করে রবিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে, মঙ্গলবার ধর্নায় বসবে দলের বঙ্গজননী শাখা। সেই ধর্নামঞ্চে দাঁড়িয়েই তোপ দাগলেন ফিরহাদ। ‘টাকার থলি’ হাতে নিয়ে পুজো দখল করার চেষ্টা শুরু হয়েছিল বলেও দাবি করলেন।

Advertisement

রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যারে এ দিন সকাল ১০টা থেকে বঙ্গজননী শাখার ধর্না শুরু হয়। সংগঠনের প্রধান তথা বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার তো ছিলেনই। ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, কৃষ্ণা চক্রবর্তীরাও। যে হেতু বঙ্গজননীর ব্যানারে ধর্না, সে হেতু তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেডই মূলত অংশ নিয়েছিল এ দিনের কর্মসূচিতে। তবে ধর্না শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মঞ্চে হাজির হন কলকাতার মেয়রও। বিজেপি বিরোধী সুর তুঙ্গে তোলেন তিনি।

ফিরহাদ এ দিন অভিযোগ করেন যে, বিজেপি নেতারা ‘টাকার থলি’ হাতে নিয়ে কলকাতার পুজো কমিটিগুলো দখল করার চেষ্টা শুরু করেছিল। কিন্তু পুজো কমিটিগুলো বিজেপির ডাকে সাড়া দেয়নি এবং সেই কারণেই এখন আয়কর বিভাগকে কাজে লাগিয়ে কমিটিগুলিকে হেনস্থা করার চেষ্টা চলছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: কোনও পুজো কমিটিকে নোটিস পাঠানো হয়নি, মমতার অভিযোগ উড়িয়ে জানাল আয়কর দফতর​

‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান উহ্য রেখেই এ দিন সেটির বিরুদ্ধে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন ফিরহাদ। তিনি প্রশ্ন তোলেন— বাঙালিরা কি তা হলে আর ‘জয় মা দুর্গা’ বলতে পারবেন না? বাঙালির উপরে কি এ বার থেকে কোনও ‘উত্তর ভারতীয় ভগবানের’ নামে স্লোগান চাপিয়ে দেওয়া হবে? এই রকম প্রশ্নও তোলেন ফিরহাদ।

আরও পড়ুন: অসমে বাতিল নাগরিকদের তালিকা আর যাচাই নয়, এনআরসি মামলায় জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

কাকলি, চন্দ্রিমা, শশীদের গলাতেও প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে এ দিন। কলকাতার দুর্গাপুজো কমিটিগুলোকে বিজেপি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারছে না বলেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি লাগিয়ে কমিটিগুলিকে হেনস্থা করার চেষ্টা হচ্ছে বলে তাঁরা প্রত্যেকেই অভিযোগ করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement