—প্রতীকী ছবি।
নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি দায়িত্ব নেবেন আগামী বছরের শুরুতে। তার আগে আগামী মাসেই কার্যনির্বাহী সভাপতি বেছে নিতে চলেছে বিজেপি। আজ থেকে দিল্লিতে শুরু হওয়া দু’দিনের সাংগঠনিক বৈঠকে নতুন কার্যনির্বাহী সভাপতি বেছে নেওয়ার বিষয়টি ছাড়াও উত্তরপ্রদেশের দলের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়।
আগামী দিনে ওবিসি ভোটব্যাঙ্কের সমর্থন নিশ্চিত করতে কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসেবে কোনও ওবিসি নেতাকে বেছে নেওয়ার কথা ভাবছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের মতে, দৌড়ে রয়েছেন দুই কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল ও বিনোদ তাওড়ে। দু’জনেই ওবিসি এবং অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ। সূত্রের মতে, আজকের সাংগঠনিক বৈঠকে দুই নেতার নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি, আজকের বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিশ্লেষণ হয়। এ বারের ভোটের ফলে একটি বিষয় স্পষ্ট, দলের কাজকর্মে ক্ষুব্ধ সাধারণ কর্মীরা। নিচুতলার কর্মীদের মানভঞ্জন কী ভাবে করা সম্ভব, তা নিয়েও বিশদে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
আজকের বৈঠকে উত্তরপ্রদেশের ফলাফল এবং ভোটের পরে দলের মধ্যে যে গোষ্ঠী-বিবাদ শুরু হয়েছে, সেই প্রসঙ্গও ওঠে। সূত্রের মতে, উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) ধর্মপাল সিংহ আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি ওই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যের মধ্যে যে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে দলকে জানিয়েছেন ধর্মপাল। পাশাপাশি, ওই রাজ্যের শরিক দলনেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুপ্রিয়া পটেল সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের ওবিসি তথা
নিচুতলার চাকরিপ্রার্থীদের সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বৈঠকে সেই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। উত্তরপ্রদেশে সামনেই দশটি বিধানসভা আসনে নির্বাচন রয়েছে। সেই আসনগুলিতে দলের প্রস্তুতি কেমন হয়েছে, দলীয় রণকৌশল কী হওয়া উচিত, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।