কে ডি সিংহ। ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন দলের সব সাংসদকেই বিধানসভায় ভোট দিতে নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল। ব্যতিক্রম কুঁওয়র দীপ (কে ডি) সিংহ।
কেবল মাত্র তাঁকেই দিল্লিতে সংসদে ভোট দিতে বলেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
পাঁচ বছর আগে রাষ্ট্রপতি ভোটের সময় একই ভাবে দলের সব বিধায়ক, সাংসদ বিধানসভাতেই ভোট দিয়েছিলেন। তাঁরা দলের সমর্থিত প্রার্থী অর্থাৎ প্রণব মুখোপাধ্যায়কেই ভোট দিচ্ছেন কি না, সে দিকে সতর্ক নজর রেখেছিলেন তৃণমূলের পর্যবেক্ষকেরা। এ বারও আগামী ১৭ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন সেই ধরনের ব্যবস্থা হবে কি না, তা নিয়ে দলের অন্দরে গুঞ্জন চলছে। ‘ক্রস ভোটিং’ ঠেকাতে দলের একাংশ অবশ্য এ বারও কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। দলের বেশির ভাগ সাংসদ নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা রাজ্য বিধানসভাতেই ভোট দিতে চান। ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত হয়েছে শুধু কে ডি-র জন্য।
আরও পড়ুন: ঘরছাড়া অন্তঃসত্ত্বাদের আশ্রয় এখন কওসর-অসীমরাই
অ্যালকেমিস্ট সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পরে সংস্থার কর্ণধার কে ডি-র বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করেছে। ‘‘কে ডি-কে সাংসদ করা ভুল হয়েছিল’’ বলে তার পরেই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের কোনও অনুষ্ঠানেই তার পর থেকে আর ডাক পাননি কে ডি।
রাজ্যসভার তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের কথায়, ‘‘অন্য সবাই কলকাতায় ভোট দেবেন। কারও কারও ক্ষেত্রে ভেবে দেখা হবে।’’ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ‘সচেতন ভাবেই’ তৃণমূল নেতৃত্ব কে ডি-কে কলকাতায় না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দলের এক শীর্ষ নেতার দাবি। দলেরই একাংশের ব্যাখ্যা, পুলিশি নিরাপত্তায় মোড়া বিধানসভায় তৃণমূলের রাজ্যসভার ওই সাংসদ ভোট দিতে এলে প্রশ্ন উঠতে পারে, হাতের কাছে পেয়েও কেন কে ডি-কে পুলিশ গ্রেফতার করছে না?
দলের সঙ্গে ‘দূরত্বে’ থাকা রাজ্যসভারই আর এক সাংসদ কুণাল ঘোষ জামিনে মুক্ত। কিন্তু নারকেলডাঙা থানার এলাকার বাইরে গেলে তাঁকে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হয়। বিধানসভাতেই ভোট দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের অনুমতি চেয়ে তিনি ইতিমধ্যেই আবেদন জানিয়েছেন। দলের আর এক সাংসদ রোজভ্যালি-কাণ্ডে বন্দি তাপস পাল এখন ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে। তিনি রাষ্ট্রপতি ভোটে অংশ নেবেন কি না, তা জানা যায়নি।
অগস্টে তৃণমূল সাংসদ দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তিনি দলের নির্দেশেই ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন।