ক্যাম্পাসে শান্তি জরুরি, মনে করালেন রাজ্যপাল

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিতে রবিবার মেদিনীপুরে এসেছিলেন রাজ্যপাল ধনখড়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর ও কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৩
Share:

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আচার্য-রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী। রবিবার মেদিনীপুরে। নিজস্ব চিত্র

এক বারের জন্যও যাদবপুরের নাম নেননি। তবে তাঁর বক্তব্যের একটা বড় অংশ জুড়েই থাকল যাদবপুরের ঘটনার ইঙ্গিত। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শান্তির পরিবেশ কেন জরুরি, তা আবারও মনে করিয়ে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

Advertisement

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিতে রবিবার মেদিনীপুরে এসেছিলেন রাজ্যপাল ধনখড়। এ রাজ্যের দায়িত্বে আসার পরে আচার্য হিসেবে এটাই তাঁর প্রথম কোনও সমাবর্তনে যোগ দেওয়া। বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যপাল শুরুতেই সে কথা মনেও করিয়ে দেন। পরে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষা যে হেতু জাতির মেরুদণ্ড, তাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীর স্বার্থেই শান্তির পরিবেশ প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের স্থিতিশীলতার উপরেই।’’

কয়েক দিন আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেরুয়া ছাত্র সংগঠনের অনুষ্ঠান ঘিরে ক্যাম্পাসে ধুন্ধুমার বেধেছিল। পথ আটকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশের বিরুদ্ধে। বাবুলের বিরুদ্ধে উপাচার্য়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার-সহ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। সে দিন পরিস্থিতি সামলাতে যাদবপুরের ক্যাম্পাসে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্র সংসদের ঘর ভাঙচুর, রাস্তায় আগুন জ্বালানোর অভিযোগ ওঠে এবিভিপি-র বিরুদ্ধে। সে দিনের ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করেই এ দিন আচার্য মনে করিয়ে দেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে কারও ক্ষতি করার চেষ্টা করা অনুচিত।

Advertisement

রাজ্যপালের এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘আমরা আশা করব, শুধু আচার্য নন, রাজ্যপাল হিসেবেও তিনি নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করবেন। রাজ্য সরকারকে পাশে নিয়েই রাজ্যের স্বার্থে কাজ করা রাজ্যপালের দায়িত্ব।’’

সমাবর্তনের মঞ্চে এ দিন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরাজ প্রশংসা করেন। উপাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত অধ্যাপক পদ সৃষ্টি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আরও পরিকাঠামোর উন্নয়নেও সাহায্য করেছেন তিনি। তা শুনে করতালি দিতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকেও।

এ বার ছিল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম সমাবর্তন। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, ইতিহাসবিদ রজতকান্ত রায়। অধ্যাপক অশোক সেন ও শান্তনু ভট্টাচার্যকে এ বার সাম্মানিক ডিএসসি দেওয়া হয়েছে। অশোকবাবু ইলাহাবাদের হরিশচন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক। শান্তনুবাবু ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স (কলকাতা)-এর ডিরেক্টর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement