প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি আইএমএ বেঙ্গলের। ছবি: সংগৃহীত।
বৃহস্পতিবার রাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ দিল্লি)। এ বার একই মর্মে প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিল আইএমএ বেঙ্গলও। জানানো হল, চিকিৎসকদের সমস্যাগুলির সমাধানে প্রশাসন উদ্যোগী না হলে চরম পদক্ষেপ নেবেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রেস বিবৃতিতে রাজ্য প্রশাসনকে বার্তা দেয় আইএমএ বেঙ্গল। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন চলছে। একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনশনরত চিকিৎসকেরা। তাঁদের স্বাস্থ্যের অবনতি নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা চিকিৎসক সমাজ। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন অবিলম্বে চিকিৎসকদের সমস্যা সমাধানে নামুক। এর পরেই রাজ্য প্রশাসনকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন আইএমএ রাজ্য শাখার চিকিৎসকেরা। জানিয়ে দিয়েছেন, প্রশাসন উদ্যোগী না হলে চরম পদক্ষেপ করবেন তাঁরা।
শুক্রবার সপ্তম দিনে পা রাখল ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন। গত শনিবার রাত থেকে অনশনে বসেছেন তাঁরা। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার আরজি করের ডাক্তার অনিকেত মাহাতোর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এর পরেই অবিলম্বে মীমাংসা চেয়ে প্রশাসনকে বার্তা দিয়েছে আইএমএ বেঙ্গল। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে আইএমএও।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে আইএমএ (দিল্লি) লেখে, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল। তাঁদের দাবিগুলিকে সমর্থন করে আইএমএ। অবিলম্বে আপনার এ দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।’’ চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘‘হাসপাতালে সুষ্ঠু পরিবেশ, নিরাপত্তার দাবি কোনও বিলাসিতা নয়। বরং অবশ্যপূরণীয় কিছু শর্ত। সরকার চাইলেই সব দাবি মানতে পারে। আমাদের আবেদন, তরুণ প্রজন্মের ডাক্তারদের সঙ্গে তৈরি হওয়া এই জটিলতার মীমাংসা করে নিন গুরুজন এবং সরকারের প্রধান হিসাবে। সমগ্র ভারতের চিকিৎসকেরা এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং তাঁরা বিশ্বাস করেন, আপনি জুনিয়র ডাক্তারদের জীবন বাঁচাবেন। আইএমএ-র তরফে আমরা যে কোনও সহায়তা করতে প্রস্তুত।’’ এর পরেই বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে আইএমএ-র রাজ্য শাখাও। এ ছাড়া একই দিনে সর্বভারতীয় রেসিডেন্ট ডাক্তারদের সংগঠন ‘ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’ (এফএআইএমএ) থেকেও মমতাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠিতেও রয়েছে হুঁশিয়ারি। দাবি না মানলে দেশ জুড়ে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এফএআইএমএ-র সদস্যেরা। এমন একের পর এক চিঠিতে সরকারের উপর চাপ বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।