ফাইল ছবি
বাসভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে পরিবহণ দফতর ও বেসরকারি বাস মালিকদের মধ্যে টানাপড়েন চলছেই। তারই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, অবৈধ ভাবে বেসরকারি বাসগুলি যথেচ্ছ ভাড়া নিচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। শনিবার এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সরকারি অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও বেসরকারি বাসগুলি যাত্রীদের থেকে বেশি পরিমাণে ভাড়া আদায় করছে। পরিবহণ দফতর কি কোনও পদক্ষেপ নেবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘‘যদি কোনও যাত্রী বেশি ভাড়া নেওয়ার টিকিট দিয়ে থানায় এফআইআর করেন, তা হলে সেই বাসের পারমিট বাতিল করা হবে।’’
মন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পাল্টা নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন বাস মালিকরা। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মন্ত্রী মন্ত্রীর মতোই কথা বলেছেন। কিন্তু ভাবতে হবে, ২০১৮ থেকে আমরা বাসভাড়া বাড়ানোর কথা বলে আসছি। এই ক্রমবর্ধমান ডিজেলের দামবৃদ্ধির সঙ্গে কোভিডের জন্য রাস্তায় লোকজন নেই। কোন যুক্তিতে এত তেলের দাম সত্ত্বেও ভাড়া না বাড়িয়ে বাস চালানো হবে?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘৮০-৮৫ শতাংশ যাত্রী আমরা পরিবহণ করি। সরকার গেজেট প্রকাশ করে ভাড়া ঘোষণা করুক। আমরা বেআইনি ভাবে ভাড়া নিতে চাই না। অটোর ভাড়া কারা ঠিক করছেন? আগে মন্ত্রী অটোর ভাড়া ঠিক করুন। মোটর ভেহিকেলস আইন অনুসারেই সব ঠিক করুক সরকার।’’ সিটি সাবারবন বাস সার্ভিসেসের নেতা টিটো সাহা বলেন, ‘‘কেউ যদি অন্যায় করেন, তা হলে তাঁকে শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু যাঁরা অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন, তাঁরা কি সব গাড়ি চালাতে পারছেন? ধীরে ধীরে সব গাড়ি তো বসে যাচ্ছে, যেমন বাই-ওয়ান রুটগুলি চলছে না। একটি রুটে ২৫টি গাড়ি মেনে চলাচল করলে ১৫টি গাড়ি বাই-ওয়ানে চলে। এ ক্ষেত্রে কেন বাই-ওয়ানে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না, তাও সরকারকে বলতে হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ফেয়ার রেগুলেশন অ্যাক্টে সরকার তো ভাড়ার দায়িত্বে রয়েছে। যেখানে তেলের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সেখানে গাড়ি কী ভাবে চলবে? তাও সরকারকেই বলে দিতে হবে।’’