তোলাবাজি করলে গ্রেফতার: অনুব্রত

কয়লা, পাথর এবং বালি— মূলটি এই তিন প্রাকৃতিক সম্পদের দখলদারি নিয়ে জেলায় নানা প্রান্তে, নানা ঘটনায় তোলাবাজির অভিযোগ সামনে এসেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুরারই শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:১০
Share:

দলের কোনও কর্মী তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাঁকে রেয়াত করা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার মুরারই ১ ব্লকে সভা ছিল তৃণমূলের। সেখান থেকে পুলিশকেও অনুব্রতর বার্তা, ‘‘তোলাবাজি প্রমাণিত হলে দলের কর্মীর বিরুদ্ধেও আইন মেনে ব্যবস্থা নিন। প্রয়োজনে গ্রেফতার করুন।’’

Advertisement

কয়লা, পাথর এবং বালি— মূলটি এই তিন প্রাকৃতিক সম্পদের দখলদারি নিয়ে জেলায় নানা প্রান্তে, নানা ঘটনায় তোলাবাজির অভিযোগ সামনে এসেছে। তাতে বহুবার নাম জড়িয়েছে বর্তমান শাসকদলেরও। এ দিন যে এলাকায় দাঁড়িয়ে অনুব্রত তোলাবাজির প্রশ্নে সরব হয়েছেন, সেই মুরারই এলাকাতেও তোলাবাজির অভিযোগ বহু দিনের। রাজগ্রামে পাথর শিল্পাঞ্চল তো আছেই। লাগোয়া ঝাড়খণ্ড এলাকাতেও পাথর শিল্পাঞ্চল রয়েছে। আছে বালির ঘাট। ঝাড়খণ্ড থেকে রাজগ্রাম, মুরারই এলাকা দিয়ে বেআইনি কয়লা পাচার নিয়েও অভিযোগ রয়েছে বহু দিন ধরেই। সে দিক থেকে জেলা সভাপতির সতর্ক-বার্তা প্রাসঙ্গিক। বিশেষ করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে।

এ দিনের সভায় অনুব্রত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, খাদ্যসাথীর মতো উন্নয়নমূলক কাজের ফিরিস্তি দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন। শেষ করার আগে বলেন, ‘‘মুরারইয়ে একটা কথা বলার আছে। জাজিগ্রাম অঞ্চল এই সামনেই বোধ হয়। এখানে তোলাবাজি হয়। চাতরাতেও (মুরারই ১ পঞ্চায়েত সমিতির একটি অঞ্চল) জোর করে টাকা তোলা হয়। ছাড়ব না। মানুষের থেকে জোর করে টাকা তোলা হয়। পার্টির কোনও সিদ্ধান্ত নয়। আমি এখানকার প্রশাসনকে বলব, সিআই সাহেবকে বলব সাত দিনের ভিতরে যদি আমার দলের লোকও হয় তাঁকে আগে গ্রেফতার করুন।” একটু যোগ করেন, ‘‘দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করিনি। কোনও দিন করব না। মানুষের ক্ষতি হোক চাইব না। মানুষের পাশে থাকব। মানুষকে ঠকানো যাবে না। জোর করে কোনও টাকা তোলা যাবে না।’’ দলের পদে থাকা লোককেও রেয়াত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি।

Advertisement

অনুব্রত সাফ বলেছেন, ‘‘প্রয়োজনে বিধায়ক, ব্লক সভাপতিকেও রেয়াত করব না। তাড়িয়ে দেব। জেলে ঢোকাব। এটাই আমার শেষ কথা।” তৃণমূলের নাম করে পুলিশের থেকে কেউ বাঁচতে চাইলে তাঁকে যেন আগে গ্রেফতার করা হয়, তা-ও শুনিয়ে রেখেছেন অনুব্রত। জেলা তৃণমূলের সভাপতির কথায়, ‘‘যদি কেউ সুপারিশ করেন, তাঁকে আগেই গ্রেফতার করবেন। এটা বলে গেলাম।” পরে যোগ করেন, ‘‘এই বিধানসভার ন’জনের স্টিয়ারিং কমিটি গড়া হবে। এমএলএ হবেন সেই কমিটির চেয়ারম্যান।’’ সভা থেকে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সমালোচনা করেন বিরোধীদেরও। অনুব্রতর কথায়, ‘‘তৃণমূলের সমালোচনার আগে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আত্মসমালোচনা করুন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement