আইএসসি পরীক্ষায় সারা দেশে প্রথম হয়েছেন পাঁচ জন। তাদের মধ্যে এ রাজ্য থেকে রয়েছেন দু’জন। ছবি: প্রতীকী
আইসিএসই (দশম) এবং আইএসসি (দ্বাদশ) সর্বভারতীয় পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হল। আইসিএসই পরীক্ষায় সারা দেশে প্রথম হয়েছে মোট ন’জন। তাদের মধ্যে রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের ছাত্র। মেধাতালিকায় প্রথম তিনে এ রাজ্য থেকে রয়েছে ২২ জন। আইএসসি পরীক্ষায় সারা দেশে প্রথম হয়েছেন পাঁচ জন। তাদের মধ্যে এ রাজ্য থেকে রয়েছেন দু’জন। দ্বাদশ শ্রেণির মেধাতালিকায় প্রথম তিনে এ রাজ্য থেকে রয়েছেন ১৮ জন।
আইসিএসই পরীক্ষায় রাজ্য থেকে পাশের হার ৯৮.৭১ শতাংশ। আইএসসি পরীক্ষায় রাজ্য থেকে পাশের হার ৯৬.৮৮ শতাংশ।
২০২৩ সালে রাজ্য থেকে আইসিএসই পরীক্ষা দিয়েছিল ৪১৮টি স্কুলের ৪১ হাজার ৫০৬ জন। তাদের মধ্যে ২২ হাজার ৯৫৯ জন ছাত্র। ১৮ হাজার ৫৪৭ জন ছাত্রী। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাশের হার বেশি। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় মেয়েদের পাশের হার ৯৯.০১ শতাংশ। ছেলেদের মধ্যে পাশের হার ৯৮.৪৭ শতাংশ।
দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় মোট নম্বর ছিল ৫০০। তাতে ৪৯৯ পেয়ে সারা দেশে প্রথম হয়েছে সম্বিৎ মুখোপাধ্যায়। পূর্ব বর্ধমানের সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ছাত্র সে। ৪৯৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় হয়েছে পাঁচ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ১৬ জন। দ্বিতীয় হয়েছে পার্ক স্ট্রিটের অ্যাসেম্বলি অফ গড চার্চ স্কুলের অনুরাগ নন্দী, মালদহের নর্থ পয়েন্ট স্কুলের তৃষা বেহানি, কলকাতার ডি পল স্কুলের শ্রেয়সী বিশ্বাস, জোকার বিবেকানন্দ মিশন স্কুলের সাবিক ইবন খান, গার্ডেন হাই স্কুলের আরণ্যক রায়। তৃতীয় হয়েছে ক্যালকাটা গার্লস স্কুলের ঐশী চক্রবর্তী, মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের মোহিকা দে, নিউ টাউন দিল্লি পাবলিক স্কুলের অঙ্কন রায়, সায়ন সেন, অহনা বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমানের ইস্ট ওয়েস্ট মডেল স্কুলের অন্তরা দা, নিউ টাউনের দিল্লি পাবলিক স্কুলের ডরোথি মজুমদার, দীপ্তাংশু রায়, পৈলান ওয়ার্ল্ড স্কুলের রৌনক সেন, শিলিগুড়ির সেন্ট মাইকেল স্কুলের শিলাজিৎ ঘোষ, গোবিন্দ সারদা, নৈহাটির সেন্ট লিউক স্কুলে অরুণাভ দত্ত, কলকাতার হেরিটেজ স্কুলের অপ্রতিম গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতার সেন্ট স্টিফেন স্কুলের দীপ্তাংশু রায়, পানিহাটির শিঞ্জিনি মিত্র, কল্যাণীর জুলিয়েন ডে স্কুলের সম্যজ্যোতি বিশ্বাস।
২০২৩ সালে রাজ্য থেকে আইএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল ৩১২টি স্কুলের ২৭ হাজার ৪৪২ জন। তাঁদের মধ্যে ১৪ হাজার ৭৯২ জন ছাত্রী। ১২ হাজার ৬৫০ জন ছাত্রী। দশম শ্রেণির মতো দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষাতেও ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাশের হার অনেক বেশি। মেয়েদের পাশের হার ৯৮.০৪ শতাংশ। ছেলেদের মধ্যে পাশের হার সেখানে ৯৫.৮৮ শতাংশ।
৪০০ নম্বরে ৩৯৯ পেয়ে সারা দেশে প্রথম হয়েছে বাংলার দু’জন। ভক্তিনগরের সেন্ট জোসেফ স্কুলের শুভমকুমার আগরওয়াল। কলকাতার হেরিটেজ স্কুলের মান্যা গুপ্ত। ৩৯৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় হয়েছেন ছ’জন। ৪০০-তে ৩৯৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে তৃতীয় হয়েছেন ১০ জন। দ্বিতীয় হয়েছে কলকাতার জিডি বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশন স্কুলের শুভশ্রী সাহু, হাওড়ার এমসি কেজরীওয়াল বিদ্যাপীঠের সিদ্ধার্থ কুমার দুগার, অ্যাডামাস ইন্টারন্যাল স্কুলের অনুষ্কা সামন্ত, কলকাতার প্র্যাট মেমোরিয়ালের অনুশা মাইতি, কলকাতার মডার্ন হাই স্কুলের অন্তরা বন্দ্যোপাধ্যায়, জিডি বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশনের ঐশী গঙ্গোপাধ্যায়। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্যান্ডেলের অক্সিলিয়াম কনভেন্ট স্কুলের মেঘমালা দাশগুপ্ত, জিডি বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশনের উপাসনা দাস, কলকাতার লা মার্টিনিয়ার ফর গার্লস স্কুলের সাক্ষী ভগৎ, আদ্যা আগরওয়াল, শ্রী অরবিন্দ ইনস্টিটিউশনের দেবারতি ঘোষ, দিল্লি পাবলিক স্কুল মেগাসিটির প্রতীতী মাঝি, কলকাতার মডার্ন স্কুলের কণিকা চন্দক, পানিহাটির সেন্ট জেভিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সিলভিয়া নাথ, হাওড়ার সেন্ট অ্যাগনেস কনভেন্ট স্কুলের আহির বন্দ্যোপাধ্যায়, জোকার বিবেকানন্দ মিশন স্কুলের শুভম ভাট।
সারা দেশে এ বার আইসিএসই পরীক্ষা দিয়েছিল ২,৬১৬টি স্কুলের ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৬৩১ জন। তাদের মধ্যে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ১৩১ জন ছেলে। ১ লক্ষ ৯ হাজার ৫০০ জন মেয়ে। সারা দেশেও দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাশের হার বেশি। মেয়েদের পাশের হার ৯৯.২১ শতাংশ। ছেলেদের পাশের হার ৯৮.৭১ শতাংশ।
সারা দেশে আইএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল ১,২৯১টি স্কুলের ৯৮ হাজার ৫০৫ জন। ছেলেদের সংখ্যা ৫১ হাজার ৭৮১। মেয়েদের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৭২৪। এক্ষেত্রেও ছেলেদের থেকে মেয়েদের পাশের হার বেশি। মেয়েদের পাশের হার ৯৮.০১ শতাংশ। ছেলেদের পাশের হার ৯৫.৯৬ শতাংশ।