অবিচল মানস, অনশন তুলতে আর্জি অধীরের

চার দিন কেটে গিয়েছে। কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়া অনশন করছেন। মানসবাবুর শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে তাঁকে অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:১০
Share:

অনশন মঞ্চে মানস ভুঁইয়া। সঙ্গে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।

চার দিন কেটে গিয়েছে। কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়া অনশন করছেন। মানসবাবুর শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে তাঁকে অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

Advertisement

গাঁধীমূর্তির পাদদেশে মানসবাবুর অনশনমঞ্চে শনিবার গিয়ে অধীর বলেন, ‘‘মানসবাবু আপনার আন্দোলনের কথা বাংলার মানুষ জেনেছে। আপনার দাবিও মানুষ জেনেছে। এই হিংস্র, নিষ্ঠুর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিগলিত করা আন্দোলনের লক্ষ্য হতে পারে না। আপনাকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করব।’’ তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন অধীর বলেন, ‘‘অনশনে মানসবাবুর শরীর দুর্বল হচ্ছে। এই অবস্থায় তাঁর মতো নেতার বিপদ আমরা মেনে নিতে পারব না। অনুতাপহীন এই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কংগ্রেস কীই বা পেতে পারে!’’

সরকারের তরফে দাবি পূরণের হেলদোল না দেখেই মানসবাবুকে অধীর অনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানান বলে কংগ্রেস নেতাদের একাংশের ধারণা। মানসবাবু
অবশ্য অনশনে অনড়। বরং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে নামার জন্য অধীরকে তিনি আর্জি জানিয়েছেন।

Advertisement

সবং এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে কংগ্রেস যে আন্দোলন করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে কথা জানিয়ে অধীর বলেন, ‘‘সবংয়ের ঘটনা নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপি ও পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে ৬ অক্টোবর মেদিনীপুরে প্রতিবাদ সভা করা হবে।’’ সবং-কাণ্ডের বিচারের দাবির পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপর হামলা, যুবকদের বেকারত্বের প্রতিবাদে আগামিকাল, সোমবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে যুব কংগ্রেস।

অধীরকে অনশনমঞ্চে পেয়ে ‘আবেগাপ্লুত’ হয়ে পড়েন মানসবাবু। অধীরকে বারবার ‘ছোটভাই’ বলে সম্বোধন করে মানসবাবু তাঁর আন্দোলনে সাহস, উৎসাহ জোগানোর জন্য তাঁকে ধন্যবাদও দেন। অধীরও মানসবাবুর হাতে হাত মিলিয়ে বর্ষীয়ান এই নেতার লড়াইয়ের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। মানসবাবুও নিজের হাতে অধীরের হাত নিয়ে গালে ঠেকান। দীর্ঘদিন পরে এক মঞ্চে মুখোমুখি অধীর-মানসের এই ছবিতে কংগ্রেস কর্মীরা উদ্দীপ্ত।

মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে এ দিন সবং-কাণ্ডে ধৃত তিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) কর্মী এবং চার ছাত্র পরিষদ (সিপি) কর্মীকে তোলা হয়। ফের টিএমসিপি কর্মীদের জামিনের আবেদন জানান আইনজীবী মৃণাল চৌধুরী। তবে শুনানি শুরুর আগেই আবেদনপত্র প্রত্যাহার করে নেন মৃণালবাবু। ২৯ সেপ্টেম্বর জামিনের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এ দিন সিপি-র পল্টু ওঝা এবং অনুপম আদকের জামিনের আবেদনও নাকচ হয়েছে। ধৃত সাত জনকেই ফের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। এই খুনের ঘটনার অভিযোগকারী (পরে ধৃত) সিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌমেন গঙ্গোপাধ্যায়কে না জানিয়েই পেশ করা চার্জশিট অসম্পূর্ণ বলে শুক্রবার আদালতে দাবি করেছিলেন সিপি-র আইনজীবী। তখন মামলার তদন্তকারী অফিসার সৌমেনকে নোটিস পাঠানোর আবেদন জানান। বিচারক তা মঞ্জুরও করেন। কিন্তু এ দিন সরকারি আইনজীবী দীপক সাহা ওই নির্দেশ সংশোধনের আর্জি করলে মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত সিজেএম তা খারিজ করে দেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement