উদ্ধার হওয়া টাকা-গয়না। ফাইল চিত্র।
হাওড়ায় বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শৈলেশ পাণ্ডেকে গ্রেফতার করা হল। তাঁর দুই ভাই অরবিন্দ ও রোহিত পাণ্ডেকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত তাঁদের আরও এক সহযোগী। শুক্রবার ওড়িশা থেকে তিন পাণ্ডে ভাইকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখা। তাঁদের এক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে গুজরাত থেকে। ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হবে।
কয়েক দিন আগেই হাওড়ার শিবপুর এলাকায় একটি আবাসনে ফ্ল্যাট ও গাড়ি থেকে নগদ আট কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। পাওয়া যায় সোনা ও হিরের গয়নাও। কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ একটি অভিযোগের ভিত্তিতে শিবপুরে তদন্ত চালিয়েছিল। তাদের সাহায্য করে শিবপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রতারণা-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পরে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
হাওড়ার ওই ব্যবসায়ীর গাড়ি ও ফ্ল্যাট মিলিয়ে নগদে প্রায় আট কোটি টাকা উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নরেন্দ্রপুর শাখার দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৭ কোটি টাকা লেনদেনের হদিস পায় পুলিশ। পরবর্তী তদন্তে আরও ১৭টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া যায়। যার মধ্যে ছ’টি খতিয়ে দেখে নতুন করে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি তদন্তকারী শাখা। পরে বাকি অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে আরও প্রায় ৭০ কোটি টাকার লেনদেনের হদিস মিলেছে বলে লালবাজার জানিয়েছে। সব মিলিয়ে এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০৭ কোটি টাকা লেনদেনের হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি।
টাকা উদ্ধারের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন শৈলেশ। খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর দুই ভাই রোহিত ও অরবিন্দেরও। অবশেষে এই প্রতারণা কারবারে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।