হাওড়ার উলুবেড়িয়ার যুবক কোরপান শাহকে কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে পিটিয়ে মারার ঘটনা এখনও রাজ্যবাসীর স্মৃতিতে টাটকা। সেই হাওড়ারই বাগনানে ২২ বছর আগে এক গণপিটুনিতে খুনের মামলার রায় হল বুধবার। ঘটনাচক্রে কোরপানের মতো এই ঘটনাতেও হামলা চালানো হয় চোর সন্দেহেই।
অভিযুক্ত ছিলেন ১৪ জন। মামলা চলাকালীন তিন জন মারা যান। উলুবেড়িয়া এসিজেএম আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শুভাশিস ঘোষ এ দিন ওই খুনের মামলায় ষাটোর্ধ্ব চার জনকে চার বছর করে এবং বাকিদের সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
পুলিশ জানিয়েছে ,১৯৯২ সালের ২২ ডিসেম্বর গভীর রাতে হাওড়ার বাগনানের খানজাদাপুর গ্রামে বাড়ি ফিরছিলেন বছর পঞ্চান্নের এক প্রৌঢ়। তিনি চাষাবাদ করতেন। কয়েকজন গ্রামবাসী তাঁকে রাস্তায় চোর সন্দেহে আটকে পিটিয়ে মারে। লাঠি, লোহার রড দিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়। কোপানো হয় টাঙি দিয়ে।
পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন নিহতের ভাইপো। তাঁর দাবি, চোর সন্দেহে তাঁর জেঠামশাইকে আটকেছিল গ্রামেরই ১৪ জন বাসিন্দা। ওই ১৪ জনের কাছে তাঁর জেঠামশাইকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করে লাভ হয়নি। ঘণ্টাখানেক এলোপাথাড়ি মারধরের পরে প্রৌঢ় মারা যান।
নিহতের ভাইপোর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়। ১৪ জন অভিযুক্তকেও একে-একে গ্রেফতার করে। তবে তাঁরা জামিন পেয়ে যান। মামলা চলতে থাকে। পুলিশ সব অভিযুক্তের নামেই আদালতে চার্জশিট দেয়। ইতিমধ্যে আদিত্য বালা, মৃত্যুঞ্জয় বালা এবং বাপী গুড়িয়া মারা যান।