সিঙ্গুর কলেজ

ভবন নির্মাণের কাজ অসমাপ্ত, শঙ্কায় পড়ুয়ারা

কাজ শুরু হয়েছে অনেক দিন আগেই। কিন্তু সিঙ্গুরের নির্মীয়মাণ সরকারি কলেজের ভবন তৈরির কাজ শেষ হবে কবে, কেউ জানেন না। সিঙ্গুর মহামায়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ভাবে কলেজের ক্লাস চলছে। যা পরিস্থিতি, তাতে কয়েক মাসের মধ্যে নতুন ভবনের কাজ শেষ না হলে আগামী শিক্ষাবর্ষে কলেজের ছেলেমেয়েদের ওই স্কুলে বসার জায়গা দেওয়া যাবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৫২
Share:

কাজ শুরু হয়েছে অনেক দিন আগেই। কিন্তু সিঙ্গুরের নির্মীয়মাণ সরকারি কলেজের ভবন তৈরির কাজ শেষ হবে কবে, কেউ জানেন না। সিঙ্গুর মহামায়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ভাবে কলেজের ক্লাস চলছে। যা পরিস্থিতি, তাতে কয়েক মাসের মধ্যে নতুন ভবনের কাজ শেষ না হলে আগামী শিক্ষাবর্ষে কলেজের ছেলেমেয়েদের ওই স্কুলে বসার জায়গা দেওয়া যাবে না। এই পরিস্থিতিতে সোমবার নির্মীয়মাণ ওই কলেজ-ভবন পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

সোমবার কলেজের অধ্যক্ষ জয়ন্ত চৌধুরী, সিঙ্গুরের বিডিও-সহ অন্য সরকারি আধিকারিকরা ভবনটি পরিদর্শন করেন। শনিবার মহকুমাশাসক (চন্দননগর) পীযূষ গোস্বামী সেখানে গিয়ে বৈঠক করেন।

মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুরে এসে ওই কলেজের শিলান্যাস করেছিলেন। তড়িঘড়ি ভবন তৈরির কাজও শুরু হয়ে যায়। সিঙ্গুর মহামায়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকটি শ্রেণিকক্ষ নিয়ে অস্থায়ী ভাবে কলেজ চালুও হয়ে যায়। শুরু থেকে রাজ্য প্রশাসনের তরফে বলা হচ্ছিল, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কলেজের নিজস্ব ভবন চালু হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে উল্টো। দেরির পাশাপাশি ইতিমধ্যেই নির্মাণ সামগ্রীর মান নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আর তা উঠেছে শাসক দলের স্থানীয় কয়েক জন নেতার বিরুদ্ধে। তা নিয়ে প্রশাসনিক মহলে যথেষ্ট চাপানউতোরও হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, স্কুলে জোড়াতালি দিয়ে ক্লাস চালানো হচ্ছে। পড়ুয়ারা তৃতীয় বর্ষে উঠে গেলে বাড়তি জায়গার প্রয়োজন। যে জায়গা ওই স্কুলে কোনও অবস্থাতেই মিলবে না। ফলে যেন তেন প্রকারেণ আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নতুন ভবনের কাজ শেষ করতে হবে।

Advertisement

বিডিও এবং অধ্যক্ষের পাশাপাশি এ দিন নির্মীয়মাণ কলেজ ভবনে গিয়েছিলেন পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ার এবং ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের প্রতিনিধিরাও। ঘুরেফিরে দেখার পরে সেখানেই নিজেদের মধ্যে এক দফা আলোচনা সেরে নেন তাঁরা।

সরকারি সূত্রের খবর, কাজের গতিপ্রকৃতি নিয়েই এ দিন আলোচনা হয়। যদিও এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ জয়ন্তবাবু বিশদে কিছু বলতে চাননি। তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “নির্মাণ কাজ যাতে দ্রুত শেষ হয়, তা দেখভালের জন্যই গিয়েছিলাম।”

জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা অবশ্য বলেন, “কোনও সমস্যা তৈরি না হলে আগামী জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে। তা না হলে কলেজ চালানোয় রীতিমতো সমস্যা হবে।”

কলেজ কর্তৃপক্ষ দ্রুত কাজ শেষ করার আশ্বাস পেলেও অবশ্য এ দিন সাংবাদিকদের দেখে রীতিমত উত্তেজিত হয়ে পড়েন বিডিও বিষ্ণু কবিরাজ। তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের এখানে কি কাজ? এ সব নিয়ে আপনাদের কেন বলব?”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement