অটো বন্ধ। অগত্যা এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাতায়াত। —নিজস্ব চিত্র।
অটো ও অ্যাম্বুল্যান্সের সংঘর্ষে এক অটোযাত্রীর মৃত্যুতে তিন দিন ধরে বাগনানে অটো বন্ধের জেরে চরম নাজেহাল হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষকে। ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার বাগনানের পাতিনান দ-গোড়া এলাকায়। ওই দিন বিকেলে ৬ নম্বর জাতীয়ে সড়কে অটো ও অ্যাম্বুল্যান্সের সংঘর্ষে মারা যান এক অটোযাত্রী। ওই ঘটনায় দফায় দফায় মারধর করা হয় অটো ও ম্যাজিক গাড়ির চালকদের। ভাঙচুর করা হয় গাড়িগুলিকে। বেপরোয়া অটো চলাচলের বিরুদ্ধে রাস্তা অবরোধ করে জনতা। এরপরই ঘটনার প্রতিবাদে অটো বন্ধ দিয়েছেন অটোচালকেরা। বাগনান থানার তরফে জানানো হয়েছে, সব পক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি মেটানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আইএনটিইউসি অনুমোদিত বাগনান অটো ইউনিয়নের সভাপতি কাজি শাহনাওয়াজ বলেন, “যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা বাগনানে অটো চলাচলের ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ চালু করেছি। তা সত্ত্বেও কখন কখনও দুর্ঘটনা ঘটে যায়। কিন্তু সে জন্য যদি অটোচালকদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর করা হয় তা হলে কী ভাবে গাড়ি চলবে।” যদিও স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বাগনান এলাকায় প্রচুর বেআইনি অটো চলাচল করে। পাশাপাশি অটো-ম্যাজিক গাড়িগুলি বেপরোয়া ভাবে চলাচল করায় অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। তাঁদের দাবি অবিলম্বে প্রশাসন এই সব রুটে বাস চালানোর ব্যবস্থা করুক। অটো আর ম্যাজিক গাড়ি নিয়ম মেনে চলুক।
এ দিকে তিনদিন ধরে অটো এবং ম্যাজিক গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় প্রচন্ড সমস্যায় পড়েছেন বাগনান-মানকুর, বাগনান-বাকসী, বাগনান-গাটখালনা, বাগনান-খালনা, বাগনান-ফুলিয়া রুটের কয়েক হাজার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া, অফিস যাত্রী। বৃষ্টিতে বিপদ মাথায় নিয়েই মোটরভ্যানে যাতায়াত করতে বাধ্যে হচ্ছে তাঁদের। অজয় বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ছাত্র বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই রুটে বাস বন্ধ। তাই অটো-ম্যাজিক গাড়ি একমাত্র ভরসা। এখন ওগুলো বন্ধ থাকায় খুব সমস্যায় পড়েছি।”