বামফ্রন্টের বিক্ষোভ-অবস্থান কর্মসূচি ভণ্ডুল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বেশ কিছু দাবি নিয়ে বুধবার দুপুরে গোঘাট এলাকার বামফ্রন্টের পক্ষে গোঘাট-২ এর বিডিও অফিসে অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সিপিএমের গোঘাট জোনাল কার্যালয় থেকে বের হতেই পারলে না কেউ। কর্মসূচি বাতিল তো হয়ই, বিকালে বাম নেতাদের পুলিশি নিরাপত্তায় জোনাল দফতর থেকে বের করে কামারপুকুর চত্বর পার করে দেওয়া হয়। বামেদের অভিযোগ, সশস্ত্র তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের দফতর থেকে বার হতেই দেয়নি। যথারীতি তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পুলিশ এবং সিপিএম সূত্রে খবর, কামারপুকুর চটি সংলগ্ন সিপিএমের জোনাল কার্যালয় থেকে মিছিল করে বিডিও অফিসে যাওয়ার অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। জেলা সিপিএম সূত্রে খবর, বামফ্রন্টের পক্ষে এদিন দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিক্ষোভ-অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। যে সব দাবিতে তাঁরা এ দিনের এই কর্মসূচি নিয়েছিলেন সেগুলি হল, সারদা-সহ বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের প্রেফতার করতে হবে, ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে হবে, ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে শ্রমিকদের বকেয়া অবিলম্বে মেটাতে হবে, কংসাবতী থেকে জল দিতে হবে, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতা প্রকল্পগুলির টাকা যথাসময়ে দিতে হবে ইত্যাদি।
এ দিন সেই মতো জোনাল কার্যালয়ের সামনে পুলিশও মোতায়েন ছিল। বামফ্রন্টের তরফে সিপিএমের জোনাল সম্পাদক অরুণ পাত্রর অভিযোগ, “সকাল ১১টা থেকে শ’দুয়েক তৃণমূল কর্মী লাঠি, রড নিয়ে জোনাল কার্যালয়ের মূল ফটক সংলগ্ন রাস্তা ঘেরাও করে। অনবরত বোমা ফাটিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে বামফ্রন্টের যে সব নেতা-কর্মীরা মিছিলে সামিল হতে আসছিলেন তাঁদের কামারপুকুর চটি মোড় থেকে খেদিয়ে দেওয়া হয়।” তিনি বলেন, “ওরা (তৃণমূল) আমাদের কোনও কর্মসূচি করতে দেবে না।” তাঁর আরও অভিযোগ, পুলিশের সামনেই সমস্ত ঘটনা ঘটলেও পুলিশ ছিল নীরব দর্শক মাত্র। বাধ্য হয়েই তাই তাঁদের বিক্ষোভ-অবস্থান কর্মসূচি বাতিল করতে হয়।
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা তথা গোঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন মণ্ডলের দাবি, “ওখানে তৃণমূলের কোনও ব্যানার ছিল না। সাধারণ মানুষই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।” নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে পুলিশ।