বিএস পার্কের আক্রমণ আটকে গেল গোলের সামনেই। নিজস্ব চিত্র।
শ্রীরামপুর মহকুমা সুপার ডিভিশন ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হল ভদ্রেশ্বরের ইউনাইটেড অ্যাথলেটিক ক্লাব (ইউএসি)। রানার্স বিএস পার্ক। ইউএসি ১-০ গোলে জেতে।
লিগ ও নকআউট পদ্ধতিতে এই প্রতিযোগিতা হয়। রবিবার রিষড়ার লেনিন মাঠে ফাইনাল হয়। প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। দু’দলই গোলের কয়েকটি সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। ইউএসি-র একটি শট বিপক্ষের বারে লেগে ফিরে আসে। পরের অর্ধের শুরুতে ইউএসি-র খেলোয়াড়দের পায়েই বেশি বল ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের ২৩ মিনিটের মাথায় ইউএসি-র রাকেশ মণ্ডল কাজের কাজটি করে ফেলেন। বাঁ পায়ের পুশে বিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। গোল খাওয়ার পরে অবশিষ্ট সময়ে তেড়েফুঁড়ে চেষ্টা করে বৈদ্যবাটির ক্লাবটির ছেলেরা। তাদের মিঠুন নাহা নামার পরে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ে। কিন্তু গোলের জন্য মাথা কুরে মরলেও আসল কাজটি করতে পারেননি। এই সময় একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করে গত বারের চ্যাম্পিয়নরা। ইউএসি-র গোলরক্ষক একটি ভাল সেভ করেন। শেষ বাঁশি বাজতেই মাঠেই ‘সেলিব্রেশন’ শুরু করে দেন ইউএসি-র ফুটবলাররা।
এই নিয়ে চতুর্থবার এই প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা পেল ভদ্রেশ্বরের দলটি। ক্লাবের কর্মকর্তা গৌতম মণ্ডল জানান, শেষ বার এই প্রতিযোগিতায় দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পনেরো বছর আগে। তিনি বলেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যেই দল গড়েছিলাম। ছেলেরা বলেছিল, চ্যাম্পিয়ন হতে চেষ্টার কসুর করবে না। ওরা কথা রেখেছে।’’ বিএস পার্কের অন্যতম কর্তা সৌমেন ঘোষ বলেন, ‘‘ওরা আমাদের থেকে ভাল খেলেছে। যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে। কয়েকটি সহজ সুযোগ করার খেসারত দিতে হল আমাদের। আগামী মরসুমে নতুন উদ্যমে শুরু করব।’’ জেতার পর পটকা ফাটিয়ে আগাম দীপাবলিও সেরে রাখলেন ক্লাবের সমর্থকরা।
লেনিন মাঠে এ দিন ফাইনালের পর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক শম্ভুনাথ রায় বলেন, ‘‘শীঘ্রই শ্রীরামপুর স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হবে। তার পরে ই মাঠ খুলে দেওয়া হবে।’’