লক্ষ্য পর্যটনও

প্রশাসনিক কাজের সুবিধায় সংস্কার হচ্ছে সেচ বাংলো

বন্যা হলে এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কাজকর্ম সারতে হত উলুবেড়িয়ার মহিষরেখা সেচ বাংলো থেকে। ফলে কাজের ক্ষেত্রে দূরত্বের কারণে সমস্যায় পড়তে হত সেচ দফতরের কমীদের। অথচ বাগনানের মানকুলে রূপনারায়ণের ধারে সেচ বাংলো থাকলেও সেখান থেকে কোনও কাজ যাচ্ছিল না বাংলোর ভগ্নদশার কারণে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাগনান শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:০০
Share:

বন্যা হলে এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কাজকর্ম সারতে হত উলুবেড়িয়ার মহিষরেখা সেচ বাংলো থেকে। ফলে কাজের ক্ষেত্রে দূরত্বের কারণে সমস্যায় পড়তে হত সেচ দফতরের কমীদের। অথচ বাগনানের মানকুলে রূপনারায়ণের ধারে সেচ বাংলো থাকলেও সেখান থেকে কোনও কাজ যাচ্ছিল না বাংলোর ভগ্নদশার কারণে। পাশাপাশি, ক্ষতি হচ্ছিল পর্যটনের ক্ষেত্রেও। এই অবস্থায় প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে এবং পর্যটনের জন্য মানকুরে সেচ দফতরের বাংলোটি ভেঙে নতুন করে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। এ জন্য ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করছে সেচ দফচর।

Advertisement

বাংলোটি সংস্কার হলে বাগনান ১ ও ২ নম্বর ব্লক এবং আমতা ২ ব্লকের বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকায় বন্যার সময় ত্রাণ সরবরাহ-সহ নানা প্রশাসনিক কাজকর্মের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলে সেচ দফতরের দাবি। রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলোটির সংস্কারের খুবই প্রয়োজন ছিল। বিষয়টি জানার পরই দ্রুত ব্যবস্থা নিই। এর ফলে প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি পর্যটকদেরও সুবিধা হবে।”

রূপনারায়ণ নদীর ধারে মানকুরে সেচ দফতরের পুরনো বাংলোটি তৈরি হয়েছিল বছর পঞ্চাশেক আগে। মূলত বাকসি, মানকুর, শরত্‌, ওরফুলি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় রূপনায়ারণ নদীর বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য বিভিন্ন সময় সেচ দফতরের আধিকারিকেরা এখানে আসা-যাওয়া করতেন। তা ছাড়া বর্ষার সময় রূপনারায়ণ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলে বাঁধের দেখভালের জন্য সেচ দফতরের কর্মীরা এখানে থাকতেন। এ ছাড়া আমতা ২ ব্লকের বন্যাপ্রবণ দ্বীপাঞ্চল এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ থেকে শুরু করে নানা প্রশাসনিক কাজ হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাংলোটির ভগ্নদশা হয়ে পড়েছিল। বার বার সেচ দফরের নজরে বিষয়টি আনা হলেও কোনও কাজ হয়নি। ২০১৩ সালে বিষয়টি সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে আনা হলে তিনি মানকুরে নতুন একটি বাংলো তৈরির পরিকল্পনা করেন। ওই বছরেরই শেষ দিকে কাজ শুরু হয়ে যায়।

Advertisement

সেচ দফতর সূত্রে খবর, নব নির্মিত বাংলোটি দোতলা। উপর-নীচ মিলিয়ে তিনটি থাকার ঘর রয়েছে। এ ছাড়া থাকছে গুদাম ও রান্নাঘর। নির্মাণ কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে। সংস্কার করা হয়েছে ভেঙে পড়া প্রাচীরেরও। সেচ দফতরের এক কর্তা জানান, প্রাথমিক ভাবে ৫০ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে। বাংলোর সামনের রাস্তা কংক্রিটের করে সৌন্দার্যায়নের পরিকল্পনা হয়েছে। পুরনো বাংলোর যা অবস্থা হয়েছিল তাতে প্রশাসনিক কাজে সমস্যা হতো। কাজ করতে হচ্ছিল উলুবেড়িয়া মহিষরেখা সেচ বাংলো থেকে। তাতেও সমস্যার শেষ ছিল না। নতুন বাংলোটি তৈরি হয়ে গেলে কাজের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement