পাঁচলার গঙ্গাধরপুর মহামন্দির এবং জয়পুর পঞ্চানন রায় কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। দু’টি কলেজেই টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে তাদের সংগঠনের প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া এবং ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলেছে এবিভিপি এবং এসএফআই। টিএমসিপি অভিযোগ মানেনি।
বুধবার থেকে মনোনয়নপত্র তোলা শুরু হয় জয়পুরের কলেজটিতে। বৃহস্পতিবার ছিল শেষ দিন। ১৪টি আসনের জন্য টিএমসিপি ছাড়া অন্য কোনও সংগঠনই মনোনয়নপত্র তোলেনি। এর আগে পাঁচলার কলেজটিতেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে টিএমসিপি।
এবিভিপি এবং এসএফআইয়ের অভিযোগ, কলেজে কলেজে টিএমসিপি অগণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করেছে। বিরোধী প্রার্থীদের তারা ভয় দেখাচ্ছে। হুমকি দিচ্ছে। পরিচয়পত্র কেড়ে নিচ্ছে। অভিযোগ উড়িয়ে টিএমসিপি-র দাবি, যথাযথ পদ্ধতি মেনেই মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে। কাউকে ভয় দেখানো বা হুমকি দেওয়া হয়নি। বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
হাওড়ার ২১টি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ২৮ জানুয়ারি। জয়পুর এবং পাঁচলার ওই কলেজ দু’টি বাদ দিয়ে যে ১৯টি কলেজে নির্বাচন হওয়ার কথা, তার মনোনয়নপর্ব অবশ্য এখনও শুরু হয়নি। এবিভিপি-র জেলা সম্পাদক সুদীপ দেবনাথ বলেন, “আমাদের উপরে আক্রমণ চলছেই। তবু আমরা অন্য কলেজগুলিতে প্রার্থী দিতে চেষ্টা করব।” এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষের অভিযোগ, “হুমকি দেওয়া চলছেই। সম্পূর্ণ অরাজক পরিস্থিতিতে টিএমসিপি কলেজগুলিতে নির্বাচন করতে চাইছে। এ অবস্থায় অন্য কলেজগুলিতে আমরা প্রার্থী দিতে পারব কি না, তা নিয়ে আমরা চিন্তিত।”
টিএমসিপির জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) তুষার ঘোষের দাবি, “যে যা-ই অভিযোগ করুক, ছাত্রছাত্রীরা আমাদের সঙ্গেই আছেন।”