তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে হামলা, ইঙ্গিত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের

রাতের অন্ধকারে তারকেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী তৃণমূলের সুমনা ঘোষের বাড়িতে চড়াও হল এক দল যুবক। তাঁকে মোবাইলে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রবিবারের এই ঘটনায় আতঙ্কিত সুমনাদেবী পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। দলীয় নেতৃত্বকেও বিষয়টি জানিয়েছেন। তৃণমূলের একাংশের অনুমান, ওই দিন সন্ধ্যায় দলীয় সভায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য ওই ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তারকেশ্বর শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৪ ০১:৪৯
Share:

রাতের অন্ধকারে তারকেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী তৃণমূলের সুমনা ঘোষের বাড়িতে চড়াও হল এক দল যুবক। তাঁকে মোবাইলে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রবিবারের এই ঘটনায় আতঙ্কিত সুমনাদেবী পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। দলীয় নেতৃত্বকেও বিষয়টি জানিয়েছেন। তৃণমূলের একাংশের অনুমান, ওই দিন সন্ধ্যায় দলীয় সভায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য ওই ঘটনা।

Advertisement

সুমনাদেবী বলেন, “রাতের অন্ধকারে কারা বাড়িতে এসেছিল, তাদের চেনার তেমন সুযোগ ছিল না। গলার আওয়াজও বুঝতে পারিনি। যা বলার দলীয় নেতৃত্বকেই বলব।’’ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কেশব ঘোষ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, “এখানে দলে কোনও সমস্যা নেই। গোষ্ঠী-রাজনীতিরও প্রশ্ন ওঠে না।” রবিবার কোনও দলীয় বৈঠকের কথা মানতে চাননি কেশববাবু। তাঁর দাবি, রবিবার সন্ধ্যায় কোনও দলীয় বৈঠক ছিল না। সুমনাদেবীর বাড়িতে হামলার কথাও তাঁর অজানা। রাজ্যের মন্ত্রী তথা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রচপাল সিংহ জানিয়েছেন, আজ, মঙ্গলবার তারকেশ্বরে দলীয় বৈঠকেই সুমনাদেবীর বাড়িতে হামলার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

রবিবার সন্ধ্যায় তারকেশ্বরে আমতলার দলীয় কার্যালয়ে একটি বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সুমনাদেবী। দলের একাংশ জানিয়েছে, সেখানেই দলের এক গোষ্ঠীর কয়েক জন নেতা সুমনাদেবীর কাজকর্ম নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। সুমনাদেবী তাঁদের কথা শুনছেন না বলেও অভিযোগ তোলেন। সুমনাদেবীকে তাঁরা এ নিয়ে সতর্ক করেন এবং হুমকিও দেন। সভার মধ্যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সুমনাদেবী স্বাভাবিক ভাবেই বিচলিত হয়ে পড়েন। বাদানুবাদে না জড়িয়ে তিনি বৈঠকের পরে বালিগোড়ি-২ পঞ্চায়েতের মির্জাপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরে যান।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতেই কিছু যুবক সুমনাদেবীর বাড়িতে চড়াও হয়। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করা হয়। চলতে থাকে কটূক্তি। অভিযোগ, লাথি মেরে দরজা খোলার চেষ্টা করা হয়। আতঙ্কে ঘর থেকে সুমনাদেবীরা চিৎকার শুরু করে দেন। হইচই শুনে প্রতিবেশী এবং দলীয় সমর্থকেরা চলে আসায় হামলাকারীরা গা-ঢাকা দেয়। রাতেই সুমনাদেবীর মোবাইলে ফোন করে গালিগালাজ করা হয় এবং তাঁর মেয়েকে জড়িয়েও নানা কুকথা বলা হয় বলে অভিযোগ। আতঙ্কিত ঘোষ পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নির্দিষ্ট অভিযোগ জানানো হয়। রাতেই পুলিশ ওই বাড়িতে যায়।

তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা জানান, পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। যে নম্বর থেকে সুমনাদেবীর মোবাইলে ফোন করে কটূক্তি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ, সেটি কার নম্বর তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, রবিবার দলীয় বৈঠকে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণেই ওই হামলা হয়ে থাকতে পারে।

ঘটনার কথা জানতে পেরে সোমবার তারকেশ্বরের কয়েক জন তৃণমূল নেতা সুমনাদেবীর বাড়িতে যান। তাঁকে আশ্বস্ত করেন। পুরো বিষয়টি দলের জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে দলীয় স্তরে তদন্তের আশ্বাস দেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement