তিনটিরও বেশি সভায় অনুপস্থিত থাকায় তৃণমূল পরিচালিত ডোমজুড়ের কলোরা-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ ন’জনের সদস্যপদ খারিজ করে দিল প্রশাসন। গত ৫ সেপ্টেম্বর এই সিদ্ধান্ত নেন মহকুমাশাসক (সদর) বাণীপ্রসাদ দাস। মঙ্গলবার বিডিও-র মাধ্যমে ওই নির্দেশিকা পৌঁছয় পঞ্চায়েতে।
ওই ন’জনের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের উপপ্রধান রণজিৎ দাস-সহ সাত জন এবং দু’জন সিপিএমের। মহকুমাশাসক বলেন, “আদালতের নির্দেশে পঞ্চায়েত আইন মেনেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই ন’জন সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার জন্য এক মাসের মধ্যে জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে আবেদন জানাতে পারেন। সেই সময়ের মধ্যে আবেদন না জানালে ওই দফতর আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে।”
১২টি আসনের ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দখলে ছিল ৮টি, সিপিএমের ৩টে, বিজেপির ১টি। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানকার কাজকর্ম চালানো এবং গ্রামোন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে ইতিমধ্যে ১৭টি সভা হলেও প্রথম দিকের কয়েকটি ছাড়া বাকি সভাগুলিতে ওই ন’জন আসেননি। ফলে, বিঘ্নিত হচ্ছে উন্নয়নের কাজ। এ নিয়ে প্রধান তৃণমূলের মাসুদ মণ্ডল গত ৩০ জুন মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হন। ন’জনের সদস্যপদ খারিজের আবেদন জানান। কলকাতা হাইকোর্টেও একই আবেদন জানান তিনি। হাইকোর্টই মহকুমাশাসককে দ্রুত সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দেয়।
প্রধান বলেন, “প্রশাসনের সিদ্ধান্তে আমি খুশি। ওই ন’জন সভায় না এসে অসহযোগিতা করছিলেন। তাই অভিযোগ জানাতে বাধ্য হই।” দলেরই সাত পঞ্চায়েত সদস্যের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাওয়া নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপলতি অরূপ রায় বলেন, “অনভিপ্রেত ঘটনা। দলের নেতাদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।”