অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটিতে তৃণমূলের কাছে হেরে যাওয়ায় ডোমজুড়ের মাকড়দহ-১ পঞ্চায়েতের ক্ষমতা হারাল সিপিএম।
গত বছর জুলাই মাসের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডোমজুড়ের ১৮টির মধ্যে বাঁকড়া-৩ এবং মাকড়দহ-১ পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসে বামফ্রন্ট। বাকি ১৬টিকে তৃণমূল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রধান তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বাঁকড়া-৩ পঞ্চায়েতটি বামফ্রন্টের হাতছাড়া হয়। তার পরে মঙ্গলবার মাকড়দহ-১ পঞ্চায়েতেও হারল তারা। ফলে, ডোমজুড় ব্লকে একটি পঞ্চায়েতও আর বামফ্রন্টের হাতে থাকল না।
গত পঞ্চায়েত ভোটে মাকড়দহ-১ পঞ্চায়েতের ১৭টি আসনের মধ্যে সিপিএম জিতেছিল ৯টিতে, তৃণমূল ৮টিতে। এলাকা উন্নয়নের কোনও কাজ প্রধান করছেন না, এই অভিযোগে গত ১৯ অগস্ট প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে তৃণমূল। বিডিও ভোটাভুটির দিন ঠিক করেন গত ১৬ সেপ্টেম্বর। কিন্তু পদ্ধতি মেনে অনাস্থা প্রস্তাবটি আনা হয়নি, এই যুক্তি দেখিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয় সিপিএম। আদালত অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয়। তারপরে অবশ্য আদালত মঙ্গলবার ভোটাভুটির পরবর্তী নির্দেশ দেয়। সেই রায় মেনেই এ দিন ভোটাভুটি হয় বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর।
পঞ্চায়েত কার্যালয়েই ভোটাভুটি হয়। অশান্তির আশঙ্কায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। ভোটাভুটির সময়ে দেখা যায় শুক্লা ঘোষ নামে সিপিএমের মাত্র এক জন্য সদস্য হাজির হয়েছেন। তৃণমূলের আট জনই ছিলেন। শুক্লাদেবী অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষেই ভোট দেন। ৯-০ ভোটে অনাস্থা প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়।
সিপিএম নেতা আনন্দ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “ভোটাভুটিতে টাকার খেলা হয়েছে। এটা বুঝতে পেরেই আমাদের দলের বাকি সদস্যেরা আর ভোটাভুটিতে যোগ দেননি।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।