বাগনানে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সম্মেলন
নিজস্ব সংবাদদাতা
কণ্ঠসঙ্গীত পরিবেশন করছেন শিল্পী পাল।—নিজস্ব চিত্র।
উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের জন্মশতবর্ষে নিবেদিত হল সারারাতব্যাপী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সম্মেলন। গত ২ মে হাওড়ার বাগনান হাইস্কুলে আয়োজিত এই সঙ্গীতানুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিল শিল্পী ও শিল্পী সহায়ক সংস্থা সম সংহতি। মঙ্গলদ্বীপ জ্বালিয়ে, বেদ পাঠ এবং গুণীজন সংবর্ধনা দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়। নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায় তবলা লহরা শোনান ত্রিতাল ও রূপক তালে। শিল্পীর লয়জ্ঞান বাজনাকে আকর্ষণীয় করে তুলেছিল। অতনু সাউ পরিবেশন করেন বাগেশ্রী রাগে খেয়াল। বহু পরিচিত রাগ হলেও শিল্পীর পরিবেশনার গুণে তা মনে হয়নি। তবলায় শিল্পীকে সহযোগিতা করেন গোপাল চট্টোপাধ্যায়। হারমোনিয়ামে ছিলেন মনোজ পাল। বাঁশিতে বেহাগ় রাগ বাজিয়ে শোনান পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাগের রূপ প্রকাশে তাঁর প্রয়াস প্রশংসনীয়। সঙ্গে তবলায় শিল্পীকে যোগ্য সহায়তা দেন অশোক রায়চৌধুরী। প্রশংসার দাবি রাখে যোগ রাগে শিল্পী পালের পরিবেশনা। তবলায় সঙ্গত করেন নয়ন ঘোষ। হারমোনিয়ামে ছিলেন জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে আহির ভৈরব রাগে সেতার বাদন করেন দেবজিৎ চক্রবর্তী। রাগ চয়নে তাঁর প্রজ্ঞা প্রশংসনীয়। তবলায় শিল্পীকে সহযোগিতায় ছিলেন পিন্টু দাস। শিল্পী রতন ঘোষের তবলাবাদন এবং সুকুমার রায়ের গজল পরিবেশনার গুণে শ্রুতিমধুর হয়ে ওঠে। সম্মেলনে মঞ্চেই চিত্রশিল্পী অমল দত্তের বিভিন্ন রাগের রূপ ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস অভিনব। মনোজ্ঞ ছিল আরাধনা ভট্টাচার্যের আবৃত্তি। সংস্থার পক্ষে রতন ঘোষ ও প্রশান্ত দত্ত বলেন, ‘‘রাতভর শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর হারিয়ে যেতে বসেছে। টানা ছয় বছর ধরে এই অনুষ্ঠান হয়ে আসছে।’’
নৃত্য উৎসব
বিশ্ব নৃত্যদিবস উপলক্ষে চন্দননগর নটরাজ ডান্স একাডেমির উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী নৃত্য উৎসব ‘নৃত্যার্ঘ’ অনুষ্ঠিত হল নন্দদুলাল মন্দির প্রাঙ্গণে। উপস্থিত ছিলেন শহরের বিদায়ী মেয়র রাম চক্রবর্তী। নৃত্যশিল্পী রুদ্রায়ন গঙ্গ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় শান্তিনিকেতনের শিল্পীরা নিবেদন করেন ঋতুরঙ্গ। পাশাপাশি ভরত নাট্যম, কত্থক নৃত্য, মীরা ভজন এবং শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডি নৃত্য পরিবেশিত হয়।