ওভারলোডিং বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি ট্রাক-মালিকদের

ওভারলোডিং বন্ধে রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকা কার্যকর করা এবং পুলিশি জুলুম বন্ধের দাবিতে হুগলিতে পথে নামলেন ট্রাক মালিকেরা। বুধবার চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ সভা করেন তাঁরা। স্মারকলিপি দেওয়া হয় জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০১:১৪
Share:

ওভারলোডিং বন্ধে রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকা কার্যকর করা এবং পুলিশি জুলুম বন্ধের দাবিতে হুগলিতে পথে নামলেন ট্রাক মালিকেরা। বুধবার চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ সভা করেন তাঁরা। স্মারকলিপি দেওয়া হয় জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে।

Advertisement

ইউনাইটেড ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ হুগলির ডাকে ওই কর্মসূচিতে জেলার কয়েকশো ট্রাক মালিক উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেহ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুভাষচন্দ্র বসু। আন্দোলনকারী ট্রাক মালিকদের অভিযোগ, ওভারলোডিংয়ের পিছনে তাঁদের কোনও ভূমিকা নেই। অথচ, রাস্তার মাঝখানে গাড়ি আটকে চালকদের হেনস্থা করে পুলিশ। জোর করে টাকা আদায় করা হয়। কিন্তু যেখানে ট্রাকে মাল তোলা হয়, অথবা যেখানে পণ্য খালাস করা হয় সেখানে নজরদারি চালানো হয় না। সম্প্রতি রাজ্য সরকার এক নির্দেশিকায় জানায়, ওভারলোডিং রুখতে রাস্তায় ট্রাক আটকে অতিরিক্ত মাল নামিয়ে ফেলা হবে। তার পরে ট্রাক মালিককে ডেকে সেই মাল অন্য কোনও গাড়িতে তোলার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি, জরিমানাও করা হবে। এ জন্য বিভিন্ন জেলায় চেকপোস্ট তৈরি করা হবে। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার টাস্কফোর্সও গড়েছে। হুগলির ডানকুনিতে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপর একটি চেকপোস্ট এবং ওয়েব্রিজ (যেখানে ট্রাক ওজন করা হয়।) তৈরি করার কথা।

হুগলির জেলাশাসক মনমীত নন্দা বলেন, ‘‘আঞ্চলিক পরিবহন দফতর এবং জেলা প্রশাসন ওভারলোডিং রুখতে অভিযান শুরু করে দিয়েছে।” ট্রাক মালিকরা বলছেন, দু’-এক দিন বিচ্ছিন্ন ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া নয়, প্রকৃত পক্ষেই পাকাপাকি ভাবে নজরদারি চালানো হোক প্রশাসনের তরফে। কেননা, এর আগেও প্রশাসন ওভারলোডিং বন্ধের চেষ্টা করলেও তা শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসু হয়নি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চট্ট্যোপাধ্যায়ের হুমকি, “টাস্কফোর্স গড়ার সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু এ বারেও ওভারলোডিং বন্ধ না হলে ধর্মঘট করা ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা থাকবে না।” আন্দোলনকারী ট্রাক মালিকরা দাবি তোলেন, পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগী হলে তবেই ওভারলোডিং পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement