মিলেছে রাজ্যপালের অনুমোদন। কিন্তু তারপরেও বাগনানকে পুরসভা করার মূল প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি।
পুরসভা গঠনের জন্য ২০১৩ সালের গোড়ায় বাগনানের নাম পুর ও নগরোন্নয়ন বিভাগের কাছে প্রস্তাব করে পাঠায় হাওড়া জেলা প্রশাসন। সব দিক খতিয়ে দেখে প্রস্তাবটিতে চূড়ান্ত শিলমোহর দেয় রাজ্য মন্ত্রিসভা। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য যায় রাজ্যপালের কাছে। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যপাল প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও কেটে গিয়েছে প্রায় ছয় মাস। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি।
যে তিনটি পঞ্চায়েতকে নিয়ে বাগনান পুরসভা গঠনের প্রস্তাব করা হয় সেগুলি হল— বাগনান ১, বাগনান ২ ও খালোড়। ইতিমধ্যে এই তিনটি পঞ্চায়েতের কর্মীদের কাছে জেলা প্রশাসনের তরফে জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা পুরসভায় থাকতে চান না পঞ্চায়েতে। এ বিষয়ে পঞ্চায়েত কর্মীরা মতামত জানিয়ে দিয়েছেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর।
বাগনানকে পুরসভায় পরিণত করার দাবি দীর্ঘদিনের। সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগের সুবিধার জন্য বাগনান শহরের বিস্তার ঘটছে দ্রুত। বাড়ছে জনসংখ্যাও। কিন্তু সেই অনুপাতে নাগরিক স্বাচ্ছন্দ বাড়েনি। রয়েছে নিকাশি ও জলের সমস্যা। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলির বক্তব্য, নিকাশি, পানীয় জল বা বর্জ্যের সমস্যা মেটাতে যে টাকার প্রয়োজন তা তাদের হাতে নেই। বাগনান ১ ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, পুরসভা গঠিত হলে অনেক বেশি টাকা বরাদ্দ হয়। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সেই বরাদ্দ পাওয়া সম্ভব নয়।
খালোড়ের বাসিন্দা তরুণ খাঁড়া বলেন, ‘‘কবে থেকে শুনে আসছি বাগনান পুরসভা হবে। কিন্তু কোথায়?’’ কী বলছে জেলা প্রশাসন? বিদায়ী জেলাশাসক শুভাঞ্জন দাস বলেন, ‘‘পুর ও নগোরন্নয়ন দফতরের কাছে আমরা বাগনানকে পুরসভা গঠন সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রস্তাব জমা দিয়েছি। তারপরে কী হয়েছে বলতে পারব না। এখনও এ বিষয়ে পরবর্তী কোনও নির্দেশ জেলা প্রশাসনের কাছে আসেনি।’’
পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, পুরসভা গঠনের প্রাথমিক কাজ হয়ে গিয়েছে। প্রস্তাবটিতে রাজ্যপালের অনুমোদনও মিলেছে। এ বার বাগনানকে পুরসভা হিসাবে ঘোষণা করা হবে। তবে কবে সেই ঘোষণা হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কর্তারা।