নিয়ম মেনে বাসে যাত্রীরা। —নিজস্ব চিত্র
হাওড়া জেলায় বাসের সংখ্যা কিছুটা বাড়ল। সোমবার থেকে জয়পুরের ঝিকিরা-হাওড়া রুটে বাস চলাচল শুরু হল। এই বাস পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে আমতার বিস্তীর্ণ এলাকার অফিসযাত্রীরা উপকৃত হবেন।
এক সপ্তাহ আগেই সরকারি-বেসরকারি অফিসে ৭০% কর্মীর হাজিরার ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু পর্যাপ্ত সংখ্যক বাসের অভাবে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়রান হচ্ছিলেন নিত্যযাত্রীরা। এর পরে সরকারের তরফে দু’টি শিফটে অফিস চালুর কথা বলা হয়। এর পাশাপাশি ধীরে ধীরে বাসের সংখ্যা বাড়তে থাকায় অফিসযাত্রীদের সমস্যার কিছুটা সুরাহা হয়েছে।
গত সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে হাওড়ায় একাধিক রুটের দূরপাল্লার বাস চালু হয়। তার মধ্যে আছে বাগনান-শ্যামবাজার, বাগনান-ধর্মতলা। ধুলাগড়ি থেকে কলকাতার বিভিন্ন রুটের বেসরকারি বাসও চালু হয়। সব মিলিয়ে এই সপ্তাহের প্রথম দিনে বাসের অবস্থা অনেকটা ভাল ছিল।
হাওড়া জেলা বাস-মালিক সংগঠনের সভাপতি অসিত পণ্ডিত বলেন, ‘‘যে সব রুটে এখনও বাস নামেনি, সেখানেও খুব শীঘ্রই বাস চালু হয়ে যাবে।’’ আজ, মঙ্গলবার উদয়নারায়ণপুরের ডিহিভুরসুট থেকে হাওড়া পর্যন্ত বাস চালু হবে বলেও অসিতবাবু জানান।
তবে, জেলার ভিতরের রুটের বাস এখনও চালু হয়নি। বাগনান বাসস্ট্যান্ড থেকে শ্যামপুর, আমতা, জয়পুর প্রভৃতি রুটে বাস চলে। সেইসব রুটে বাস নামছে না। বাস-মালিকদের বক্তব্য, লোকাল ট্রেনের উপরে তাঁদের যাত্রিসংখ্যা নির্ভর করে। লোকাল ট্রেন চালু না হলে যাত্রী মিলবে না। তাই বাস চালিয়ে লাভ হবে না। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, এইসব স্থানীয় রুটের বাস বন্ধ থাকার সুযোগ নিচ্ছেন অটোরিকশা-চালকেরা। শ্যামপুর, আমতা প্রভৃতি এলাউকার অফিসযাত্রীদের কাছ থেকে অটোরিকশাগুলি যথেচ্ছ ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ।