জমা জলে নাজেহাল জগরামপুর

বর্ষা চলে গিয়েছে। কিন্তু উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের জোয়ারগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের জগরামপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরলে তা মনে হওয়ার জো নেই। কারণ পুকুর-ডোবা সবই প্রায় টইটুম্বুর। বেহাল নিকাশির কারণে এলাকা থেকে বৃষ্টির জমা জল বেরোতে পারছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৪১
Share:

বৃষ্টির জমা জল ভেঙে নিত্য যাতায়াত। — সুব্রত জানা

বর্ষা চলে গিয়েছে। কিন্তু উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের জোয়ারগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের জগরামপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরলে তা মনে হওয়ার জো নেই। কারণ পুকুর-ডোবা সবই প্রায় টইটুম্বুর। বেহাল নিকাশির কারণে এলাকা থেকে বৃষ্টির জমা জল বেরোতে পারছে না। বিপাকে পড়েছেন জগরামপুরের ঘোষপাড়া, মাঝের পাড়া সহ কয়েকটি এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল এখনও রাস্তায় জমা জল পেরিয়েই যাতায়াত করছেন লোকজন। কোথাও হাঁটুজল তো কোথাও তা প্রায় কোমরসমান। বড়দের সমস্যা তো হচ্ছেই, সবচেয়ে বিপদে পড়েছে ছোটরা। অনেকে জমা জল থেকে রেহাই পেতে খানা-খন্দের উপরে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে নিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা কার্যত না থাকায় বছরে কমপক্ষে ছ মাস তাঁদের এভাবেই কাটে।

Advertisement

তাঁদের অভিযোগ, এলাকার নিকাশি নালাগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে জবরদখলের জেরে। তার উপর জলা জমি ঘিরে নিয়ে অনেকেই ছোট ছোট পুকুর তৈরি করে পাড় উঁচু করছে। ফলে জল বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ। বছর দশেকের বেশি সময় ধরে এই অবস্থা চললেও তার সমাধানে পঞ্চায়েতের তরফে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। পঞ্চায়েত বা ব্লক প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও কাজ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা রানি ঘোষ, সন্ধ্যা ঘোষ, মমতা গাঁতাইত বলেন, ‘‘এ ভাবে রোজ নোংরা জল ঘেঁটে যাতায়াত করার ফলে নানা রকম চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে। তা ছাড়া সাপের উৎপাতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।’’

জোয়ারগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের জহুরুদ্দিন জমাদার সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এলাকায় নিকাশির সমস্যা দীর্ঘদিনের। আমরা এর সমাধানের চেষ্টা করছি। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাছে আবেদন করা হয়েছে এলাকার জলা জমিগুলোর অবস্থা জানাতে। কাগজপত্র হাতে পেলেই দখলদারদের হঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement