এই ট্যাঙ্ক পরিষ্কার নিয়েই জমছে ক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
প্রায় ১০ বছর সাফাই হয়নি উলুবেড়িয়া ইএসআই হাসপাতালের জলের ট্যাঙ্ক। ফলে, রোগী এবং হাসপাতালের আবাসনের বাসিন্দাদের অপরিষ্কার জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ট্যাঙ্কটি হেলে পড়ায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও বেড়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও হুঁশ নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।
হাসপাতালের সুপার হিমাদ্রি মুখোপাধ্যায় মানছেন, সমস্যাটা দীর্ঘদিনের। তিনি বলেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারে বারে চিঠি দিয়েছি। তাঁরা দু’একবার পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু কবে মেরামতের কাজ শুরু হবে জানি না।’’ ইএসআই কর্পোরেশনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিষয়টি দফতরের নজরে আছে। ইতিমধ্যেই জলের ট্যাঙ্কটি পরিদর্শন করা হয়েছে। খরচের হিসাব করে তা সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ১৯৬৭ সালে ২৫ একর জমিতে সেটি তৈরি হয়। শয্যাসংখ্যা ১৬০। হাসপাতাল চত্বরে আবাসনে থাকেন প্রায় ৩০০ জন। আবাসনের পাশে প্রায় ১০০ ফুট উঁচু ওই ট্যাঙ্ক থেকেই জল সরবরাহ করা হয় হাসপাতালে এবং আবাসনে। বছর দশেক আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জলের ট্যাঙ্কটি হেলে পড়ে। ফলে, ট্যাঙ্কে উঠে তা আ পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। ট্যাঙ্কের আশপাশ আগাছা এবং জঙ্গলে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। ট্যাঙ্কে ওঠার সিঁড়িও ভেঙে গিয়েছে।
হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী কাজল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ওই রাস্তা দিয়ে আবাসনে যাওয়ার সময়ে ভয় লাগে। যে কোনও সময়ে ট্যাঙ্কটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে পারে।’’ চিন্তায় রয়েছেন আবাসিকেরাও। অশোক মৈত্র নামে এক আবাসিক বলেন, ‘‘আবাসনের পাশেই ট্যাঙ্ক। পাশেই আছে খেলার মাঠ এবং হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড। ট্যাঙ্কটি ভেঙে পড়লে বহু মানুষের প্রাণহানি হতে পারে।’’ এক রোগীর আত্মীয় শেখ শাজাহানের ক্ষোভ, ‘‘দীর্ঘদিন ট্যাঙ্ক পরিষ্কার না-হওয়ায় জলে মাঝেমধ্যে শেওলা আসে। সেই জলই রোগীদের খেতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হয়নি।’’