মুক্তিরচক গণধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ হল উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক তথা উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুদীপ রঞ্জন কাঁড়ারের। সোমবার আমতা আদালতের বিচারক শ্যামলকুমার রায়চৌধুরীর এজলাসে তাঁর শুনানি হয়।
এ দিন সরকারি আইনজীবি সিদ্ধার্থ মজুমদার সুদীপবাবুকে জিজ্ঞাসা করেন গত ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর হাসপাতালে আমতার মুক্তিরচকে গণধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতাদের চিকিৎসা হয়েছিল কিনা। উত্তরে সুদীপবাবু বলেন, তাঁর হাসপাতালে দুই নির্যাতিতার চিকিৎসা হয়েছিল এবং নির্যাতিতারা গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য তিন সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছিল। সেই টিমই তাঁদের চিকিৎসা করছিল। হাসপাতালের সুপার হিসাবে তিনি পুরো বিষয়টি তদারকির দায়িত্বে ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মাস দেড়েক পরে এ দিন ফের আমতার মুক্তিরচক গণধর্ষণ মামলার শুনানি হয়। মাস দেড়েক আগে এই মামলায় চিকিৎসকদের শুনানি শুরু হয়েছিল। কথা ছিল ৯ জন চিকিৎসকের সাক্ষ্য গ্রহণ করবে আদালত। কিন্তু নানা কারণে সেই সময় ৬ জন চিকিৎসক না আসতে পারায় মাত্র ৩ জন চিকিৎসকের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। ফের সোমবার থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হল। সরকারি আইনজীবী ও বাদী পক্ষের আইনজীবী জানান, আগামী ৮ এপ্রিল, ২০১৬ পর্যন্ত মামলার শুনানি চলবে। ২০১৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতের অন্ধকারে সিপিএম সমর্থক এই নির্যাতিতাদের উপরে আক্রমণ ও গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বরুণ মাকাল, রঞ্জিত মণ্ডল-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে। পরে সকলকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু মামলা চলাকালীনই দশ অভিযুক্তের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, পুলিশ মামলার তদন্ত করে ৯০ দিনের মধ্যেই চার্জশিট দিলেও সরকারি আইনজীবী দাঁড়াতে রাজি না হওয়ায় মামলা শুরু হতে দেরি হয়ে যায়।