তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে এ বার রক্তাক্ত হল গোঘাটের রামানন্দপুর গ্রাম।
মঙ্গলবার তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কামারপুকুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে আনিশা বিবি এবং খেলাফত শেখ নামে ওই দুই ব্যক্তিকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির রামানন্দপুর গ্রামে মাটি কাটার কাজ নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে পর্যবেক্ষকদের কয়েকদিন ধরেই অশান্তি হচ্ছিল। অভিযোগ, কয়েকজন শ্রমিক ঠিক কাজ না করে পুরো মজুরির দাবি জানাচ্ছিেলন। গ্রামের বাসিন্দা তথা পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল নেতা আতাউল হক নির্দেশ দেন, মাটি কাটার মাপ অনুযায়ী মজুরি দেওয়া হবে। অভিযোগ, এই নির্দেশের পরই আতাউল হকের বিরুদ্ধে নিজের গোষ্ঠীর লোকদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ ফরিদ খান।
মঙ্গলবার সেই অভিযোগের প্রমাণ দাবি করে আতাউল হকের অনুগামীরা আমেরুল হক ওরফে কেলে এবং তাঁর সঙ্গীরা ফরিদের অনুগামীদের মারধর করে বলে অভিযোগ। ফরিদ অনুগামী খেলাফত শেখ নামে একজনের মাথা ফাটে। অন্য দিকে ফরিদের অনুগামীরাও লোকজন পাল্টা মারধর করে বলে অভিযোগ।
আতাউল হকের অভিযোগ, ‘‘স্বচ্ছতা রেখে ১০০ দিনের প্রকল্প রূপায়ণের চেষ্টা করায় ফরিদ মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এলাকা অশান্ত করছে।” অন্য দিকে ফরিদ খানের পাল্টা দাবি, “আতাউল হকের দুর্নীতির প্রতিবাদ করাতেই তার ছেলেরা মারধর করছে।’’
দলের এই গোষ্ঠী-সংঘর্ষ নিয়ে গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পরেও দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ থামছে না। এ নিয়ে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। বিষয়টা রাজ্যস্তরেও জানাব।’’