লেন ভাঙায় ফের দুর্ঘটনা, বাগনানে বাস উল্টে জখম ২০

ফের হাওড়ায় মুম্বই রোডে লেন ভাঙার কারণে দুর্ঘটনা ঘটায় প্রশ্নের মুখে পুলিশ-প্রশাসন।দুর্ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার হাওড়ার বাগনানের চন্দ্রপুর গ্রামে। আহতদের বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ১৯ জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও একজনকে রেফার করা হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:১৯
Share:

বাঁ দিক থেকে, নয়ানজুলিতে পড়ে বাস। দুর্ঘটনার পরে দেখা গেল এমন ছবি।নিজস্ব চিত্র।

ফের হাওড়ায় মুম্বই রোডে লেন ভাঙার কারণে দুর্ঘটনা ঘটায় প্রশ্নের মুখে পুলিশ-প্রশাসন।

Advertisement

দুর্ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার হাওড়ার বাগনানের চন্দ্রপুর গ্রামে। আহতদের বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ১৯ জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও একজনকে রেফার করা হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন ভোর সাড়ে ৫টায় গড়িয়া থেকে ছেড়ে একটি বাস পূর্ব মেদিনীপুরের বোগায় যাচ্ছিল। সাড়ে ৭টা নাগাদ চন্দ্রপুরে যখন বাসটি পৌঁছয় তখন সেখানে লেন ভেঙে অন্য একটি লরি তার সামনে চলে আসে। চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় পাশের নয়ানজুলিতে উল্টে যায় বাসটি। ভিতরে আটকে পড়া যাত্রীদের চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশও।

গত এক বছরে মুম্বই রোডে লেন ভেঙে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিছু ক্ষেত্রে প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেও তা যে কাজে আসছে না বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনায় তা ফের প্রমাণ হল। দুর্ঘটনায় কেউ মারা না গেলেও বার বার এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। বিশেষ করে আলমপুর, জঙ্গলপুর, রানিহাটি, উলুবেড়িয়া, বাগনান এলাকায় লেন ভাঙার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। কারণ এ সব এলাকায় রয়েছে কারখানা। কারখানায় আসা পণ্যবাহী ট্রাকগুলি রাস্তা সংক্ষেপ করতে বেআইনিভাবে লেন ভেঙে অন্য লেনে চলে আসে বলে অভিযোগ।

Advertisement

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সঠিকভাবে লেন বদলানোর করার জন্য মুম্বই রোডে প্রচুর কাট তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু তার বাইরেও স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের সুবিধার্থে যত্রতত্র বেআইনি কাট তৈরি করেছেন। ফলে মোটরবাইক, ছোট গাড়ি থেকে লরি-ট্রাক সেইসব কাট দিয়ে যথেচ্ছ লেন ভাঙে। জাতীয় সড়ক সংস্থার এক পদস্থ কর্তা জানান, লেন ভেঙে গাড়ি চললে তা দেখার কথা পুলিশের। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশের দেখা মেলে না। এমনকী যে কাটটিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানেও এ দিন কোনও পুলিশ ছিল না।

যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তৈরি কাটগুলিতে পুলিশ বা সিভিক ভলান্টিয়ার থাকে বলে পুলিশের দাবি। বৃহস্পতিবার সকালে চন্দ্রপুর গ্রামের যেখানে দুর্ঘটনা ঘটে, সেই কাটটি তড়িঘড়ি বোল্ডার ফেলে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, বেআইনিভাবে চলাচল করা গাড়ির বিরুদ্ধে পুলিশ নিয়মিত ব্যবস্থা নেয়। ফলে দুর্ঘটনা অনেক কমেছে বলেও তাঁর দাবি। একইসঙ্গে তাঁর আশ্বাস, খুব শীঘ্র মুম্বই রোডে বেআইনি যান চলাচল রুখতে বিশেষ পরিকল্পনা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement