থমকে বোর্ড গঠন।ফাইল চিত্র।
পর্যাপ্ত পুলিশ নেই, এই কারণ দেখিয়ে সিঙ্গুর ব্লকে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন পিছিয়ে দিল প্রশাসন।
শুক্রবার ব্লক প্রশাসনের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিডিও সুমন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ব্লকের পনেরোটি পঞ্চায়েতে আজ, শনিবার প্রধান এবং উপপ্রধান ঠিক করার দিন ধার্য হয়েছিল। সে জন্য সিঙ্গুর থানাকে পুলিশ মোতায়েন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু থানার তরফে জানানো হয়, অনিবার্য কারণে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন সম্ভব হবে না। সেই কারণেই ওই সমস্ত পঞ্চায়েতে প্রধান এবং উপপ্রধান নির্বাচন স্থগিত রাখা হচ্ছে। ওই প্রক্রিয়া কবে হবে, তা পরে তা জানানো হবে।
হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা চলছে। সিঙ্গুরের উপর দিয়ে বহু পুণ্যার্থী সেখানে যান। ফলে বিশেষত শনি ও রবিবার প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করতে হয়। সেই কারণেই শনিবার পর্যাপ্ত পুলিশ দেওয়া সম্ভব নয়। সে কথা প্রশাসনকে আমরা জানিয়ে দিয়েছি।’’
বিরোধীরা অবশ্য অন্য কথা বলছেন। সিঙ্গুরের বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা পাঁচকড়ি দাস এবং বিজেপির ওবিসি মোর্চার রাজ্য সভাপতি স্বপন পাল মনে করছেন, পঞ্চায়েতের পদ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরের কাজিয়া সামাল দিয়েই বোর্ড গঠন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রবীর ঘোষাল অবশ্য বলেন, ‘‘প্রশাসনিক অসুবিধার জন্যই ওই প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। এর পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোথা থেকে আসছে? বিরোধীরা আষাঢ়ে গল্প ফেঁদেছেন।’’